ক্ষমতায় আসার দু’বছরের মধ্যে শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রেই প্রায় এক লক্ষ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার বণিকসভা ফিকি এবং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আয়োজিত আলোচনাসভার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। কলেজ সার্ভিস কমিশন (সিএসসি)-এর ইন্টারভিউ শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক এবং কলেজে কলেজে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্রাত্যবাবু বলেন, “বেশ কিছু মামলা চলছে। তবে দ্রুত সেগুলির নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছি। দু’বছরে এক লক্ষ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে ফেলা তো কম নয়!”
ব্রাত্যবাবু কর্মসংস্থানের যে-খতিয়ান দিয়েছেন, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। কারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয় স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে। কিন্তু তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ওই সব ক্ষেত্রেই নিয়োগ কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে শূন্য ও নতুন পদে প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করার কথা আছে ঠিকই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে কোনও রকম নিয়োগ হচ্ছে না। গত বছর জুলাইয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছে। কিন্তু বছর ঘুরতে চললেও এখনও সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়নি। ওই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু মামলা হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে। মামলা হয়েছে পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন নিয়েও। কলেজে তিন বছর শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। কয়েক মাস আগে নিয়োগের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে। কিন্তু ইন্টারভিউয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়োগের পক্ষে কতটা অনুকূল, শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই তা নিয়ে সন্দিহান। |