সারদা কান্ডের পর সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন গ্রেফতার হলেও এখনও অধরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ হয়ে যাওয়া লগ্নি সংস্থার কর্তারা।
২০০৮ সালে বনগাঁ মহকুমার স্থানীয় কালুপুর এলাকায় তৈরি হয়েছিল রুবিস্টার গ্রুফ অফ কোম্পানির শাখা অফিস। ২০১০ এর সেপ্টেম্বরে ওই লগ্নি সংস্থার সব অফিস বন্ধ হয়ে যায়। পালিয়ে যান কর্তারা। এখনও টাকা ফেরত পাননি ওই সংস্থার আমানতকারী ও এজেন্টরা। প্রশাসনের সব মহলে বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রাথমিকভাবে এজেন্ট ও আমানতকারীরা বনগাঁর মহকুমা শাসককে বিষয়টি জানান। ২০১১ এর মার্চে মামলা হয় বনগাঁ মহকুমা আদালতে। ২০১১ সালের অগস্ট মাসে বিষয়টি জানিয়ে আমানতকারী ও এজেন্টরা চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রীকে। চিঠি দেওয়া হয় মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকেও। ২০১২-র ১৭ মে সংস্থার অধিকর্তা দিবাকর দাস-সহ ৫ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তদন্তে নামে রাজ্যে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। কিন্তু এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউ। মেলেনি টাকা। ২০১২ এর সেপ্টেম্বরে কোম্পানির সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা ফেরতের দাবিতে মামলা হয় হাইকোর্টে।
এই অবস্থায় হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে রুবিস্টার গ্রুফ অফ কোম্পানির এজেন্ট ও আমানতকারীদের মধ্যে। সংস্থার এজেন্ট বাগদার মহানন্দপাড়ার প্রকাশ রায় বলেন, “মহাকরণ থেকে চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করা হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকার এখনও ব্যবস্থা নেয়নি।” বিভাস রায় নামে এক এজেন্ট বলেন, “আমার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছিল। গ্রাহকের কাছে থেকে তুলেছিলাম ১৫ লক্ষ টাকা। কিছুই ফেরত পাইনি।” ওই সংস্থার এজেন্টদের অভিযোগ, আর্থিক ক্ষতির চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেকে আত্নহত্যা করেছেন।
সারদা কান্ডের পর অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। ফলে হয়তো ফেরত পাওয়া যেতে পারে টাকা, এই আশাতেই দিন কাটাচ্ছেন আমানতকারীরা। |