ইস্টবেঙ্গলে গোলকিপারদের পর এ বার মর্গ্যানের তোপের সামনে ভারতীয় স্ট্রাইকাররা। লাল-হলুদ কোচের দাবি, বলজিৎ, মননদীপদের ‘ব্যর্থতা’র কারণে আই লিগ হাতছাড়া হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।
সিকিম ইউনাটেডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে আলাদা কোনও অনুপ্রেরণা নেই মেহতাব-চিডিদের। কারণ, ইস্টবেঙ্গলের রানার্স হওয়ার অঙ্কটাও এখন জটিল হিসেবের মাঝে পথ হারিয়েছে। মর্গ্যান-ব্রিগেডকে আই লিগের ‘সেকেন্ড বয়’ হতে গেলেও বাকি দুটো ম্যাচ তো জিততে হবেই। সঙ্গে পুণে এফসি-কে পৈলান অ্যারোজের মতো দুর্বল টিমের কাছে হারতে হবে।
এই অবস্থায় নিজের ফুটবলারদের মর্গ্যানের একের পর এক সমালোচনা যেন আরও গম্ভীর পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। ভাইচুংয়ের দলের বিরুদ্ধে নিরামিষ ম্যাচে নামার আগের দিন বলজিৎ, মননদীপদের নিয়ে অসন্তোষ গোপন রাখলেন না সাহেব কোচ। বললেন, “ভারতীয় স্ট্রাইকারদের অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো ওরা কাজে লাগাতে ব্যর্থ। চিডির পাশে ভাল কোনও স্ট্রাইকার পেলে হয়তো আমাদের রেজাল্ট অন্য রকম হত।” |
মর্গ্যানের নির্দেশ বিদেশি পেনকে। মঙ্গলবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
টানা তিন বছর আই লিগ খেতাবের স্বপ্ন দেখে তিন বারই অল্পের জন্য সেই স্বপ্ন চুরমার হল ইস্টবেঙ্গল কোচের। হতে পারে মর্গ্যান নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য খড়কুটো খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কখনও ফুটবলার, কখনও কর্তাদের দোষারোপ করে নিজের হতাশা কাটানোর চেষ্টা করছেন। পরক্ষণে ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিট’ দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালেই চার্চিল ব্রাদার্সকে আগাম শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না। “আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য চার্চিলকে আমার আগাম শুভেচ্ছা।”
কিন্তু নিজের দলের রানার্স হওয়ার জটিল অঙ্কের সমাধান করার কোনও বাড়তি তাগিদ মর্গ্যানের অনুশীলনে এ দিন দেখা গেল না। তবে ১৫ মে এএফসি কাপ প্রি-কোয়ার্টারে নামার আগে নিজেদের মানসিক ভাবে উদ্বুদ্ধ রাখতে আই লিগের শেষ দু’ম্যাচে জয় পেতে চায় ইস্টবেঙ্গল। চিডি যেমন বললেন, “এএফসি কাপের নক আউটে ভাল করতে হলে আই লিগের বাকি ম্যাচগুলো জিততেই হবে। নয়তো আমরা মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ব।”
|
বুধবারে আই লিগ
ইস্টবেঙ্গল-ইউনাইটেড সিকিম (৩.৩০, যুবভারতী)। |