শুধু প্রশাসনের উপরে নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে চলবে না, সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে সাধারণ নাগরিকদেরই। নারী নির্যাতন-সহ নানা সামাজিক অপরাধ রুখতে রূপনারায়ণপুরে সম্প্রতি আয়োজিত এক নাগরিক সম্মেলনে উঠে এল এমনই মতামত।
রূপনারায়ণপুরে হিন্দুস্তান কেবলস মুক্তাঙ্গণ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-সহ বহু বিশিষ্ট মানুষজন। সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল, সামাজিক অপরাধ রোধে সাধারণ নাগরিকদের ভূমিকা, নতুন প্রজন্মকে অপরাধমূলক কাজকর্ম থেকে বিরত রাখা ইত্যাদি। উপস্থিত নাগরিকদের মধ্যে রত্না সোম অভিযোগ করেন, রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জন এলাকায় নানা জায়গা মহিলাদের চলাফেরার জন্য নিরাপদ নয়। সাধারণ মানুষ জোটবদ্ধ ভাবে অপরাধ ঠেকাতে এগিয়ে এলে এই পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে বলে তাঁর মত। চিত্রশিল্পী অখিল মজুমদার আবার মনে করেন, নাগরিকদের জোটবদ্ধ কন্ঠ অনেক বেশি শক্তিশালী। দুষ্কর্মের প্রতিবাদে তারা এগিয়ে এলে তা রোধ করা সম্ভব। সম্মেলনে হাজির প্রায় সকলেই একই মত জানান।
সম্মেলনের আলোচনা থেকে অভিযোগ ওঠে, স্থানীয় মহাবীর কলোনি, লোয়ার কেশিয়া, ডিএভি স্কুল লাগোয়া অঞ্চল, বিহার রোড, রূপনারায়ণপুরের রেলব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, নামো কেশিয়া, অরবিন্দনগর ও অজয় তীরবর্তী হিন্দুস্তান কেবলসের ফাঁকা আবাসন এলাকায় অপরাধীদের অবাধ বিচরণ। সন্ধ্যা নামলেই এই সব জায়গা দিয়ে বিশেষত মহিলাদের যাতায়াত আর নিরাপদ থাকে না। দিন কয়েক আগেই রূপনারায়ণপুরের ফকরাডিহি রাস্তা লাগোয়া একটি বেসরকারি কারখানার কাছে এক কিশোরীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে মোটরবাইক আরোহী কয়েক জন যুবক। ওই কিশোরীর চিৎকারে এলাকার মানুষজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালায়। নাগরিক সম্মেলনে উপস্থিত সকলেই এক মত হন, শুধু প্রশাসনের উপরে নির্ভর করলে হবে না। এই সামাজিক ব্যাধী রোধে সঙ্ঘবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সম্মেলন শেষে ৩৪ জনের একটি নাগরিক কমিটি গড়া হয়। কুমুদ মণ্ডল সভাপতি ও তরুণ রথ সম্পাদক মনোনীত হন। |