কলকাতা ও আসানসোলে ইতিমধ্যেই বাস চলছে জেএনএনইউআরএম বা নেহরু ওই প্রকল্পের অধীনে।
এ বার শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়িতেও ওই প্রকল্পের বাস চালাতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাল রাজ্য সরকার।
সোমবার দিল্লিতে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের উদ্যোগে বিভিন্ন রাজ্যকে নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই কর্মশালার মূল লক্ষ্যই ছিল, জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে পরিবহণ ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের ছোট ছোট শহরকে নিয়ে আসা। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে রাজ্যের আর্জি, এ বার শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় ওই প্রকল্পে বাস চালানোর ব্যবস্থা হোক। সরকারি সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ওই প্রকল্পে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্র। |
শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি এলাকাকে জেএনএনইউআরএমের আওতায় আনার প্রাথমিক রূপরেখা নিয়ে এ দিন কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করেছেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। সেখানে ছিলেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের
সচিব দেবাশিস সেন, পরিবহণ দফতরের সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আশিস ঠাকুর প্রমুখ। সেখানে রাজ্যের তরফে প্রায় ৭০০ নতুন বাস কেনার প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই বাস চালানোর জন্য কেন্দ্রের সব শর্ত মানতে রাজি রাজ্য। প্রধান শর্তই হল, কোনও নিগমের অধীনে অথবা পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে ওই বাস চালাতে হবে। কোনও ব্যক্তি-মালিককে দিয়ে ওই বাস চালানোর ঘোর বিরোধী কেন্দ্র।
এ রাজ্যে ব্যক্তি-মালিককে দিয়ে জেএনএনইউআরএমের বাস চালানোর তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে সরকারের। ২০০৯ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে ১৫ বছরের পুরনো বাস বসে যাওয়ায় কলকাতায় বাসের আকাল শুরু হয়। সঙ্কটে পড়েন যাত্রীরা।
পরিস্থিতির সামাল দিতে বিভিন্ন পরিবহণ নিগমকে নেহরু প্রকল্পের আওতায় বাস কেনার নির্দেশ দেয় পরিবহণ দফতর। ওই প্রকল্পের আওতায় বাস কিনে ব্যক্তি-মালিকদের মধ্যেও বিলি করে তারা। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে বেশির ভাগ ব্যক্তি-মালিকই কিস্তির টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। তাঁদের অভিযোগ, জ্বালানির খরচ বাড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাসের ভাড়া না-বাড়ানোয় লাভ হচ্ছে না। কিস্তিও মেটানো যাচ্ছে না।
পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথায়, “এ বার আমরা আর ব্যক্তি-মালিকের কথা ভাবছিই না। প্রাথমিক ভাবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমকে দিয়েই নেহরু প্রকল্পের বাস চালানোর কথা ভাবা হয়েছে।” রাজ্য খুব শীঘ্রই একটি সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট জমা দেবে কেন্দ্রে। |