শিশুর চোখ নষ্ট, অভিযোগ দায়ের
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
চিকিৎসার গাফিলতিতে অম্বিকানগর সাউথকলোনির বাসিন্দা চার বছরের শিশু রূপম রায়ের চোখ নষ্ট হয়েছে দাবি করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানালেন তার মা। সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ জানান। ওই অভিযোগ পেয়ে চোখ বিভাগের কাছে ওই শিশুর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার অমর নাথ সরকার বলেন, “ওই শিশুর কী চিকিৎসা হয়েছিল তা জানাতে চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পরিবারের লোকের অভিযোগ, রূপমের বাঁ চোখে বাঁশের ছোট অংশ ঢুকে গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার তিন বার অস্ত্রোপচার করা হয়। তাতে চোখের সমস্যা মিটে গিয়েছে দাবি করে চিকিৎসকেরা ছুটি দিয়েছিলেন। অথচ কিছু দিন পর চোখ থেকে রক্ত বার হলে নেপালের বিরাটনগরে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা রূপমের চোখ থেকে বাঁশের অংশটি বার করেন। রূপমের মা রুম্পা দেবীর অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা হয়েছে। তার জন্যই চোখ নষ্ট হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখে দোষী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” শিলিগুড়ির একটি আইনি সংস্থার তরফে রূপমের পরিবারের পাশে থাকা ও প্রয়োজনীয় আইনি সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। |
গর্ভপাতে অনুমতি দিতে পারে আয়ার্ল্যান্ড
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
মায়ের মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে গর্ভপাত করে যাতে তাঁকে বাঁচানো যায়, তার জন্য নতুন আইন আনতে চলেছে আয়ার্ল্যান্ড প্রশাসন। ক্যাথলিক আয়ার্ল্যান্ডে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। ফলে প্রয়োজন থাকলেও চিকিৎসকেরা গর্ভপাত না করানোয় মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত দন্তচিকিৎসক সবিতা হালাপ্পানাভার। মৃত ভ্রূণ প্রসবের পর তাঁর সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। প্রয়োজনে গর্ভপাতে অনুমতি দেওয়া হোক, এই দাবিতে জনমত তৈরি হয় সে দেশে। ভবিষ্যতে এই রকম ঘটনা এড়াতে গত সপ্তাহেই ‘প্রোটেকশন অফ লাইফ ইন প্রেগন্যান্সি বিল’ নামে একটি বিল আনে আইরিশ মন্ত্রিসভা। যদিও ইতিমধ্যেই বিলটি নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে সে দেশের ক্যাথলিক চার্চ। বিশপদের আশঙ্কা, এর ফলে যে কেউই গর্ভপাত করানো নিয়ে চিকিৎসকদের উপর জোর করতে পারেন। তবে ক্যাথলিকদের আপত্তি উড়িয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী এন্ডা কেনি জানিয়েছেন, দেশের মানুষ যা চাইছেন সেটাই আইন হবে। তাঁর কথায়, “দেশ চলে সংবিধান মেনে। আর সংবিধান তো মানুষেরই। তাঁদের ইচ্ছাকে মর্যাদা দেওয়া আমাদের কর্তব্য।” সংবিধান ও আইন মেনেই যাতে প্রয়োজনে গর্ভপাত আইনসম্মত করা যায় সেই চেষ্টা তাঁরা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেনি। |