|
|
|
|
টাকার বদলে চাকরির টোপ, ধৃত কনস্টেবল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
মোবাইল ফোনের সূত্রে ধরে পুলিশে চাকরির নাম করে বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা তোলার মামলায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি রেল স্টেশন চত্বর থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম গোপাল মৈত্র মুর্শিদাবাদ থানার কনস্টেবল পদে চাকরি করেন। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বাড়ি মালদহে মঙ্গলবাড়ি এলাকায়। শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের নির্দেশে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে রবিবার দুপুরে ধৃতকে রায়গঞ্জ থানায় আনা হয়। আগেই তিন জনকে ধরে পুলিশ।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। ওই মামলায় ধৃত কার্তিকবাবুর ভাই গণেশ সিংহ নামে আর এক ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চলছে।” মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী জানান, “গোপালবাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। জেলা পুলিশের তদন্তকারী দল রায়গঞ্জে অভিযুক্তদের জেরা করবে।”
পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলায় ১ মে রায়গঞ্জের কসবায় রাজ্য চতুর্থ সশস্ত্র আরক্ষা বাহিনী দফতরের কাছে কার্তিক সিংহ, শান্তনু সিংহ ও সমর পাল নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বহরমপুর থানার সুতির মাঠ এলাকার কার্তিকবাবু বহরমপুর পুলিশ লাইনের ক্যান্টিনের মালিক। শান্তনুবাবু তার ছেলে। আর সমরবাবু তাদের প্রতিবেশি। আদালতের নির্দেশে কার্তিকবাবু ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত এবং শান্তনুবাবু ও সমরবাবু ১৬ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে। প্রায় তিন মাস ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার নানা এলাকার ২৬ জন বেকার যুবকের কাছ থেকে পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ২ থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা করে তুলতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তরা ৬০ লক্ষ টাকা তুলে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। অভিযুক্তরা ওই ২৬ জন যুবকের হাতে জাল চিঠি তুলে দিয়ে জানান, ১ মে থেকে তাঁদের রায়গঞ্জের কসবায় রাজ্য চতুর্থ সশস্ত্র আরক্ষা বাহিনীর কনস্টেবল পদে নিয়োগ করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হবে। অভিযুক্তরা ওই যুবকদের নিয়ে কসবায় রাজ্য চতুর্থ সশস্ত্র আরক্ষা বাহিনীর দফতর দেখাতে নিয়ে যান। সে সময় সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গোপালবাবু বলেন, “আমার নাম করে দুষ্কৃতীরা পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা তুলেছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|