|
|
|
|
আট মাস আটকে অনুষ্ঠানের পাওনা পাঁচ লাখ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আট মাস পরেও টাকা না মেলায় বিপাকে মালদহ কলেজ অডিটোরিয়াম কর্তৃপক্ষ, ডেকোরেটার ও ‘এ সি’ সরবরাহকারী ব্যবসায়ীরা। ২০১২-র ৩০ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মালদহ সফরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। তার খরচ বাবদ ৫ লক্ষাধিক টাকা আদায়ে পাওনাদারেরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী সফরের বিলের টাকা অনেক দিন ধরে আটকে। টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, ৩০ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর সফরে বৃন্দাবনী মাঠে বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়। মালদহ কলেজ অডিটোরিয়াম চত্বরে ম্যারাপ বাঁধার জন্য টেন্ডার ডেকে চার জন ডেকোরেটারকে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার বরাত দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২৪ থেকে ৩০ অগস্ট পর্যন্ত মালদহ কলেজ অডিটোরিয়াম কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে দুর্গাকিঙ্কর সদন, সানাউল্লাহ দুইটি প্রেক্ষাগৃহ, গৌড় অতিথিশালা, পাঁচটি ‘গেস্ট রুম’ ভাড়া নিয়েছিলেন জেলাশাসক। মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের নানা দফতরের সচিবদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের বৈঠকের সময় যাতে কেউ গরমে কষ্ঠ না পায় তার জন্য জন্য দূর্গাকিঙ্কর সদনে ৭০ টন বাতানূকূল মেশিন বসানো হয়েছিল। টেন্ডার করে শহরের এক ব্যবসায়ীকে দূর্গাকিঙ্কর সদনে একবেলা বাতানূকূল যন্ত্র বসানোর জন্য ২ লক্ষ টাকার বরাত দেওযা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সফর শেষ হওয়ার ১০-১৫ দিনের মধ্যে মালদহ কলেজ অডিটোরিয়াম কতৃপর্ক্ষ, ডেকোরেটার ও বাতানুকূল যন্ত্র সরবরাহকারী ব্যবসায়ীরা জেলা শাসককে বিল জমা দেন বলে জানান। কিন্তু আট মাস কেটে যাওয়ার পরেও তারা টাকা পাননি বলে অভিযোগ।
মালদহ কলেজ অডিটোরিয়াম কমিটির সম্পাদক কলেজের টিচার ইন চার্জ প্রভাস চৌধুরী বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের জন্য অগ্রিম বুকিং বাতিল করা হয়েছিল। এতে প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়। জেলাশাসক ২৪ অগস্ট থেকে ৩০ অগস্ট আমাদের দুইটি প্রেক্ষাগৃহ, গৌড় অতিথিশালা, অতিথি নিবাস বুকিং করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সফরের পরে জেলাশাসকের কাছে ৮০ হাজার টাকার বিল জমা দিয়েছিলাম।”
মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামের ম্যানেজার শুভেন্দু প্রামাণিক জানান, অডিটোরিয়াম অগ্রিম নিয়ে তবেই কাউকে ভাড়া দেওয়া হয়। প্রশাসনের ক্ষেত্রে সরকারি চিঠির ভিত্তিতে প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকে। সরকারি অনুষ্ঠানের এক মাসের মধ্যে অবশ্যই টাকা পেয়ে যান তারা।
বাতানুকূল মেশিন সরবরাহকারী ব্যবসায়ী শঙ্কর সাহা এ দিন বলেছেন, “দুর্গাকিঙ্কর সদন বাতানুকূল করার জন্য যে ৭০ টন মেশিনের দরকার তা মালদহে ছিল না। কলকাতা থেকে ৫ টন, ১১ টনের একাধিক বাতানুকূল মেশিন আনিয়ে ৩০ অগস্ট দুর্গাকিঙ্কর সদনে অস্থায়ী ভাবে পুরো ৭০ টন বাতানুকূল মেশিন বসানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। মুখ্যমুন্ত্রী সফরের ১০ দিনের মধ্যেই জেলাশাসকের দফতরে বিল জমা দিয়েছি। বহুবার তাগাদা দিয়েও সেই টাকা পাইনি।” একই অবস্থা ৪ জন ডেকোরেটারের। তাঁদের একজন চন্দন দে বলেছেন, “আমার ছোট ব্যবসা। আমাদের চার জনকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমে ভেবেছিলাম ৩১ মার্চ মাসের মধ্যে পুরো টাকাটি পেয়ে যাব। কিন্তু জেলাশাসকের দফতরে গেলে রোজ ‘কাল আসুন’ বলে ঘোরানো হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|