|
|
|
|
বালুরঘাট পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ |
ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া অফিস লগ্নি সংস্থার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সারদা-সহ একাধিক লগ্নি সংস্থা অফিস খুললেও পুর কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি সংস্থাকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে পুরসভার বিরুদ্ধে। আরএসপি পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার তরফে দাবি করা হয়েছে, কোনও লগ্নি সংস্থাকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। পুরসভার চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাসের দাবি, “সারদা-সহ কোনও লগ্নি সংস্থাকে ব্যবসা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। সংস্থাগুলি সম্পর্কে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল।” দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী জানান, পুরসভার তরফে ওই বিষয়ে মৌখিক বা লিখিত কিছু কিছু জানানো হয়নি। তিনি বলেন, “আমানতকারীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
বিনা ট্রেড লাইসেন্সে বছরের পর বছর ধরে শহরে অন্তত ৪০টি অর্থলগ্নি সংস্থা আরএসপি পরিচালিত পুরকর্তৃপক্ষের মদতে কারবার চালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় অভিযোগ করেন, “পণ্য সামগ্রী লেনদেনের নামে লাইসেন্স নিয়ে কয়েক বছর ধরে টাকা তোলার কারবারের খবর পুর কর্তৃপক্ষ না জানলে সুচেতাদেবীর ওই পদে থাকার কোনও এক্তিয়ার নেই। বিনা লাইসেন্সে এতদিন ধরে বালুরঘাটে সংস্থাগুলি টাকা তোলার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ধরে নিলেও পুরকর্তৃপক্ষ কেন চুপ ছিলেন, সেটাই বিস্ময়কর।” আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, “এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই এটা পুরসভার বিষয়।”
শহরের কয়েকটি অর্থলগ্নি সংস্থা তাদের কাছে পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে বলে দাবি করেছে। সম্প্রতি সেই লাইসেন্সগুলি নবীকরণ করা হয়নি বলে তাদের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। শহরের সাড়ে তিন নম্বর মোড় এলাকার একটি সংস্থার তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী পিন্টু সাহা, বলেন, “২০০৭ সালে ৫ বছরের জন্য পুরসভা আমাদের ট্রেড লাইসেন্স দেয়। তবে চলতি বছরে ওই লাইসেন্স পুরসভা নবীকরণ করেনি। কেন করেনি আমরা সেটা জানতে চেয়েছি।” একই এলাকার আরেকটি সংস্থার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হলেও পুরকর্তৃপক্ষ ট্রেড লাইসেন্স দেননি। পাশাপাশি, ব্যবসা বন্ধ করার বিষয়ে কোনও নির্দেশ পুরসভার তরফে দেওয়া হয়নি বলে তাদের দাবি।
পুরসভার চেয়ারপার্সন সুচেতাদেবী জানিয়েছেন, “কয়েকটি পণ্য সামগ্রী লেনদেনের ব্যবসা করবে বলে শহরের সাড়ে তিন নম্বর মোড়ের একটি সংস্থা ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে। পরে তা নবীকরণ করা হয়নি। নতুন করেও কোনও সংস্থাকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক কারণেই মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।”
সম্প্রতি প্রশাসনের তরফে বালুরঘাটের সারদার অফিস সিল করে নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই গোষ্ঠীর ২৯১ জন এজেন্ট এবং আমানতকারীরা বালুরঘাট থানায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বালুরঘাটে সারদা গোষ্ঠী সহ আরও তিনটি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে আমানতকারীরা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন।” |
|
|
|
|
|