|
|
|
|
১৪ই মিটিং ডাকলেন চেয়ারম্যান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
আগামী ১৪ মে শিলিগুড়ি পুরসভার মুলতুবি বোর্ড মিটিং ডাকলেন চেয়ারম্যান নান্টু পাল। ইতিমধ্যেই মেয়র এবং অন্যান্য কাউন্সিলরদের তা জানিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৩০ এপ্রিল কংগ্রেস এবং বাম কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে কোরামের অভাবে মুলতুবি হয়ে যায় বোর্ড মিটিং। তবে ১৪ মে’র মুলতুবি সভাতেও কংগ্রেস কাউন্সিলররা অনেকেই যেতে চাইছেন না। আপাতত অবৈধভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে হাইকোর্টে যে মামলা চলছে সে দিকেই তাকিয়ে তাঁরা। মুলতুবি সভায় কংগ্রেস কাউন্সিলররা না গেলে তৃণমূলের তরফে বিষয়টি সরকারকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, ‘‘মুলতুবি সভায় কোনও কাজের জন্য কিছু পাস করানো যাবে না। কোন কাজ করা যাবে না বলেই আমাদের কাউন্সিলররা সভায় না-যাওয়ার কথা ভাবছেন।” মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক জানান, মুলতুবি সভার দেরি আছে। এখনই এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত তারা নেননি বলে জানান। এবিষয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের মহাসচিব কৃষ্ণ পাল বলেন, “মুলতুবি সভায় না এলে প্রমাণ হয়ে যাবে কংগ্রেস পালিয়ে যাচ্ছে। শহরের উন্নয়নে তাদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।” পুর আইন অনুযায়ী প্রতি মাসেই একটি করে বৈঠক হওয়ার কথা। অথচ এপ্রিলের মাসিক বোর্ড মিটিং ভেস্তে গিয়েছে। মে মাসেও তা না হলে পরিষেবা সংক্রান্ত কাজে তার প্রভাব পড়বে বলে তৃণমূল অভিযোগ তুলেছেন।
অবৈধ ভাবে নান্টু পালকে চেয়ারম্যান হয়েছেন অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে হাইকোর্টে আলাদা ভাবে মামলা করে বাম এবং কংগ্রেস কাউন্সিলররা। পাশাপাশি দলত্যাগ বিরোধী আইনেও নান্টুবাবুর বিরুদ্ধে কংগ্রেস মামলা করেছে। দলত্যাগের বিষয়টি নিয়েও মামলার জেরে জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনারের কাছে নান্টুবাবু কোন দলে রয়েছেন তা তাকে শীগ্রই পরিষ্কার করে জানাতে বলা হয়েছে। আজ, সোমবার চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে করা মামলাটি শুনানি রয়েছে। |
|
|
|
|
|