|
|
|
|
দুই পুরকর্মীর বদলি নিয়ে জল্পনা পুরসভায় |
সৌমিত্র কুণ্ডু • শিলিগুড়ি |
ট্রেড লাইসেন্স এবং বিল্ডিং বিভাগ থেকে দুই কর্মীকে বদলি করে দেওয়ার ঘটনায় নানা জল্পনা শুরু হয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভায়। এক পক্ষের দাবি, অনিয়ম, লেনদেনের অভিযোগে ওই দুই জনকে সরানো হয়েছে। আরেক অংশের মতে, রুটিন মেনেই বদলি করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েই ওই দুই জনকে বদলি করা হয়েছে কি না সেই প্রশ্নে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “বদলির বিষয়টি পুরসভার আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এটা নিয়ে বিশদে বলা সম্ভব নয়।” তবে ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা বলেন, “সুনির্দিষ্ট কারণেই বদলি করা হয়েছে।”
পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দুই জনকে বদলি করা হয়েছে তারা হলেন ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের আপার ডিভিশন ক্লার্ক গৌতম ঘোষ এবং বিল্ডিং বিভাগের কর্মী চিরঞ্জিত দাস। অভিযোগ, ট্রেড লাইসেন্স বানাতে যাওয়া ব্যবসায়ীদের থেকে অনিয়ম করে টাকা নেওয়া, তাঁদের হেনস্থা করা-সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে গৌতমবাবুর বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে একই বিভাগে থাকার সুবাদে নানা অনিয়মে তাঁরা দুই জন জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। চিরঞ্জিতবাবুকে ওই বিভাগ থেকে সরিয়ে এস্টাবলিশমেন্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে এবং গৌতমবাবুকে পাঠানো হয় পূর্ত বিভাগে। শুক্রবার গৌতমবাবুর বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। সব ঠিক থাকলে আজ, সোমবার গৌতমবাবু পূর্ত বিভাগে যোগ দেবেন। চিরঞ্জিতবাবুকে গত মাসেই বদলি করা হয়েছে।
গৌতমবাবু অবশ্য বলেন, “আমার বিরুদ্ধে এ সব কোনও অভিযোগের ব্যাপার নেই। রুটিন নিয়মেই অন্য বিভাগের কাজে যোগ দিতে হচ্ছে।” চিরঞ্জিতবাবুর বলেন, “এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার এক্তিয়ার নেই। পুর কর্তৃপক্ষই যা বলার বলবেন।”
পুরসভারই একটি সূত্র জানিয়েছে, গৌতমবাবুর কাজকর্ম নিয়ে সম্প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ডেপুটি মেয়র সবিতা অগ্রবাল। ট্রেড লাইসেন্স বিভাগে গিয়ে তিনি ওই আধিকারিকের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন।
বিল্ডিং বিভাগে চিরঞ্জিতবাবুর জায়গায় এসেছেন এতদিন পূর্ত বিভাগে থাকা আশিস বসু। অভিযোগ, একজন সাধারণ পুর কর্মী হলেও বিল্ডিং বিভাগে তাঁর ভূমিকা নিয়ে সেখানকার কর্মী, আধিকারিকদের মধ্যেও অসন্তোষ ছিল।
অন্য দিকে রাতে বাড়ি ফেরার সময় পুরসভা থেকে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বড়বাবু জয়ন্ত রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে। পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই ঘটনায় এক নিরাপত্তা কর্মী তাঁকে বাধা দেন। জয়ন্তবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। |
|
|
|
|
|