আড়শা ব্লকের ৯৮ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকার নিয়োগকে বাতিল করে নতুন করে প্রার্থী নির্বাচনের দাবি তুলল তৃণমূল। এই দাবিতে আড়শার সুসংহত শিশু প্রকল্প আধিকারিককে (সিডিপিও) বৃহস্পতিবার তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন।
২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ব্লকের ৩৫ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও ৬৩ জন সাহায়িকার নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের আড়শা ব্লক সভাপতি আনন্দ মাহাতোর অভিযোগ, “নিয়োগ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে অন্ধকারে রেখে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার দিনেই রাতারাতি এই ব্লকের একটি উপ-ডাকঘর থেকে প্রার্থীদের কাছে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়। আমরা তখনই এই দুর্নীতির তদন্ত দাবি করেছিলাম। পরে প্রশাসনিক তদন্তে আমাদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। আড়শার সিডিপিওকে বরখাস্তও করা হয়। আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফরোওয়ার্ড ব্লকের অরুণ মাহাতোও তৃণমূলের দাবিকে সমর্থন করেছেন। তাঁরও অভিযোগ, “পদাধিকার বলে আমি নিয়োগ কমিটির অন্যতম সদস্য হওয়ার পরেও ওই নিয়োগ নিয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। অন্ধকারে রাখা হয় বিডিওকেও। জেলাশাসক তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নিয়োগে অনুমোদন দেননি।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় তৎকালীন জেলাশাসক অবণীন্দ্র সিংহ ওই ৯৮ জনের ভাতা বন্ধের নির্দেশ দেন। পুরো বিষয়টি তিনি শিশু ও শিশুকল্যাণ দফতরের সচিবকে চিঠি লিখে জানিয়ে পরবর্তী নির্দেশ চেয়ে পাঠান। কিন্তু এখনও তার জবাব আসেনি। তখনই তৃণমূল ওই নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছিল। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “আমাদের কাছে বেতন না দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। কাজ বাতিল করার নির্দেশ নেই।” তৃণমূলের প্রশ্ন, ভাতা বন্ধ করা হলেও ওঁদের এখনও রান্নার সরঞ্জাম কোন ভরসায় প্রশাসন দিচ্ছে? ওই নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান তথা আড়শার প্রাক্তন ফরোওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক প্রভাত মাহাতোর দাবি, “নিয়োগ পত্র ছাড়ার আগে কমিটির সব সদস্যকেই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। কেউ কেউ আসতে পারেননি। তবে বিধি মেনেই ওঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। যতদূর জানি এ নিয়ে ওই কর্মীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষিকেশ মুদি বলেন, “কী করা যায় দেখা হচ্ছে।’’ |