পর্যাপ্ত দিন ক্লাস না করায় পুরুলিয়ার একটি বেসরকারি বিএড কলেজের কিছু পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিল না সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বোরো থানার হলধর মাহাতো টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামের ওই কলেজের ৫৪ জন পড়ুয়ার অবশ্য পরীক্ষায় বসার অনুমতি মিলেছে। পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২৩ মে থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই কলেজ থেকে ৫৪ জন পরীক্ষায় বসতে পারবেন। বাকি পড়ুয়ারা ২০০ দিন ক্লাস করতে না পারায় তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া যায়নি।” তিনি জানান, ওই পড়ুয়াদের পরীক্ষার ফর্মের সঙ্গে জমা করা টাকা তাঁরা ফেরত দেবেন।
বোরো থানার দিঘি গ্রামে ২০১২ সালে হলধর মাহাতো টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে প্রাইভেট বিএড কলেজটি চালু হয়। দূরের পড়ুয়াদের জন্য হস্টেলও রয়েছে। বিএড পড়ুয়া রূপম দানা, হারাধন মুখোপাধ্যায়, সৌমেন সেনদের দাবি, “আমরা নিয়মিত ক্লাস করেছি। হাতে-কলমে যে সব কাজ করতে হয়, তাও করা হয়েছে। কিন্তু দু’সপ্তাহ আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো পরীক্ষার্থীদের নামের তালিকায় আমাদের নাম নেই। আমাদের কেন বাদ দেওয়া হল, কলেজ কর্তৃপক্ষ তা জানাচ্ছেন না।” ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা কলেজে বিক্ষোভও দেখান। তাঁরা পুরো বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জেলাশাসক ও মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত ভাবে জানান। এর পর থেকেই কলেজে অধ্যক্ষ আসছেন না, পরিচালন সমিতির কর্মকর্তাদেরও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ।
কলেজের অধ্যক্ষ অরুণকুমার নায়েক বলেন, “আমরা ১০০ জন পড়ুয়ার পরীক্ষায় বসার আবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। তাঁরা অনুমতি না দিলে আমরা কি করতে পারি।” কলেজ পরিচালন সমিতির সম্পাদক অমল মাহাতো বলেন, “পড়ুয়াদের কম ক্লাস করানোর অভিযোগ ঠিক নয়। তা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন ওই পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিল না, তা স্পষ্ট নয়।” তাঁর দাবি, পড়ুয়াদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তবে পড়ুয়াদের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। |