টুকরো খবর
নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা ফের প্রহৃত
গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে প্রহৃত হলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য পীযূষ ভূঁইয়া। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রামের সামসাবাদের ধান্যখোলা এলাকায়। অন্দরের খবর, নন্দীগ্রামে তৃণমূলের দুই নেতা আবু তাহের ও শেখ সুফিয়ান গোষ্ঠীর বিরোধের জেরেই এই ঘটনা। পীযূষবাবুকে শেখ সুফিয়ানের অনুগামীরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে আবু তাহেরের নেতৃত্বে স্থানীয় তৃণমূলের সমর্থকরা নন্দীগ্রাম থানার সামনে জড়ো হয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। নন্দীগ্রাম থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছেন পীযূষবাবু। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এ দিকে, গত শুক্রবার বিকেলে ধান্যখোলা হাইস্কুলে অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক চলাকালীন একদল তৃণমূল কর্মী ভিতরে ঢুকে প্রধান শিক্ষক প্রদীপ মাইতি, পরিচালন সমিতির সম্পাদক সুনীল মাইতি, সদস্য সানোয়ার আলিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ শনিবার তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাঁদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন জনকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযোগ স্কুলের হামলার ঘটনায় জড়িতরাও সুফিয়ান অনুগামী। যদি এই অভিযোগ ‘মিথ্যে’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সুফিয়ান। ‘‘সহানুভূতি আদায়ের জন্য পীযূষবাবু মিথ্যা অভিযোগ করেছেন” দাবি তুলে সুফিয়ানের পাল্টা অভিযোগ, “পীযূষবাবুর নেতৃত্বে একদল লোক দলের সমর্থক শেখ জবেদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করেছে।”নন্দীগ্রামে বারবার গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসায় বিব্রত তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “স্কুলে হামলা ও পীযূষবাবুকে মারধরের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় দু’পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি। প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দলীয় ভাবে খতিয়ে দেখা হবে।”

মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় উদ্ধার
হাড়গোড় পড়ে।—নিজস্ব চিত্র।
মাটি খুঁড়ে মাথার খুলি-সহ হাড়গোড় পাওয়া গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডের আটাবাঁদা গ্রামে। এই ব্লকেরই দাসেরবাঁধ এলাকায় হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের। শনিবার সকালে তাই হাড়গোড় উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমে যায় এলাকায়।স্থানীয় সূত্রের খবর, গাছ লাগানোর জন্য বন দফতরের আড়াবাড়ি রেঞ্জের ওই এলাকাটি পরিষ্কার করা হচ্ছিল। মাটি খোঁড়ার সময় কিছু হাড়গোড় উঠে এলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে খোঁড়াখুড়ি করে সাদা কাপড়, মাথার খুলি-সহ হাড়গোড় উঠে আসে। ২০০০ সালের শেষ দিকে স্থানীয় নয়াবসত অঞ্চলের ডুমুরগেড়িয়ার বিজেপি নেতা বাবলু কারক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষটি বাবলুর বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই দেহাবশেষ নিয়ে কোনও দাবি ওঠেনি।

নিরাপত্তা চেয়ে ধর্না এজেন্টদের
আমানতকারীদের থেকে রেহাই পেতে ‘সানমার্গ সুরাহা মাইক্রো ফিনান্স’ নামে লগ্নি সংস্থার প্রায় শতাধিক তৃণমূল সমর্থক এজেন্ট রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের দেশপ্রাণ ব্লকের দুরমুঠে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেনের বাসভবনে ধর্না দিলেন।এজেন্টদের বক্তব্য, পাঁচ বছর আগে ‘সানমার্গ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র কর্ণধার দিলীপরঞ্জন নাথ ও তাঁর স্ত্রী বাসন্তী মণ্ডল কাঁথি সহ পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক শাখা খুলে আমানত সংগ্রহ শুরু করেন। দিলীপবাবু একাধিক কোম্পানি খুলে কোটি-কোটি টাকা তুলে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ এজেন্টদের।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেনের বাড়িতে এজেন্টদের ধর্না। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।
গত জানুয়ারি মাসে আমানতকারীদের পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে দিলীপবাবু সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিলেও এখনও টাকা ফেরত দেননি। ক্রমে ক্রমে বিভিন্ন শাখা অফিসও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেয়াদ অন্তে টাকা ফেরত না পেয়ে আমানতকারীরা এখন এজেন্টদের উপরে চাপ দিচ্ছেন। বেশ কিছু এজেন্ট ইতিমধ্যেই জমি,গয়নাগাটি বেচেও প্রাপ্য টাকা মেটাতে পারছেন না। কাজিবসান গ্রামের এজেন্ট প্রণব মণ্ডল, কাঁথির কবিতা দাস, দারুয়ার প্রশান্ত দে-রা লক্ষ-লক্ষ টাকা আমানত তুলেছিলেন। আমানতকারীদের ভয়ে এঁরা সকলেই ঘরছাড়া। মামুদ হোসেন নিরাপত্তার জন্য তাঁদের পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আমানতকারীরা ধর্না থেকে উঠলেও বাড়ি ফিরে যাওয়ার সাহস পাননি।

ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে চণ্ডীপুর থানার নরঘাটের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পূর্ণচন্দ্র দাস (৩৫)। তাঁর বাড়ি পটাশপুর থানার কাশিমপুর গ্রামে। কর্মসূত্রে ওড়িশায় থাকতেন পূর্ণচন্দ্রবাবু। যে ব্যবসায়ীর কাছে কাজ করতেন, তাঁর বাড়ি চণ্ডীপুর এলাকায়। দুই সহকর্মীর বাড়িও এখানে। নিজের বাড়ি আসার পথে এই তিন জনের বাড়িতে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল পূর্ণচন্দ্রবাবুর। সেই মতো গত শুক্রবার ওড়িশা থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। শনিবার চণ্ডীপুরে তিন জনের বাড়িতে টাকা পৌঁছে দিলেও রাতে নিজের বাড়ি ফেরেননি। রবিবার সকালে চণ্ডীপুর থানার নরঘাটের কাছে দিঘা-মেচেদা সড়কের পাশে খালের ধারে একটি গাছে এক ব্যক্তির ঝুললন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের লোকজন এসে পূর্ণচন্দ্রবাবুর মৃতদেহ শনাক্ত করেন। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তের তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।

স্কুলে জয়ী তৃণমূল
কাঁথি ১ ব্লকের সাবাজপুট সম্বোধী শিক্ষাতীর্থের পরিচালক সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নিবার্চনে ৬টি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ছাড়া অন্য কোনও প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় তৃণমূল প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। সিপিএম নেতা নীলকণ্ঠ দলুই অবশ্য অভিযোগ করেন, “শনিবার স্কুলের গেট বন্ধ থাকায় সিপিএম প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। কয়েকজন তৃণমূল কর্মী হেনস্থা করায় সিপিএম প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে ফিরে আসেন। অন্য দিকে, খেজুরির আমজাদনগর আশুতোষ উমেশ শিক্ষাসদনের পরিচালন সমিতির ছ’টি অভিভাবক প্রতিনিধি আসনেই তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয়েছেন।

দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যু
একই গ্রামে দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। রবিবার সকালে হলদিয়ার রায়রায়াঁচক গ্রাম থেকে পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে। মৃত নারায়ণচন্দ্র ধারার (৪২) বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই গণেশ মণ্ডলের (১৮) বাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, বিষক্রিয়ায় নারায়ণবাবুর মৃত্যু হয়েছে। আর বাড়ির বাইরে ঝুলন্ত অবস্থায় গণেশের দেহ উদ্ধার হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী-র সঙ্গে এলাকারই এক ব্যক্তির সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন নারায়ণবাবু। সেই নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছিল। পেশায় অটো চালক গণেশের কয়েকদিন ধরে রোজগার ভাল হচ্ছিল না। এ দিন বাড়ির বাইরে একটি নিম গাছে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। পুলিশ মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে।

বাড়িতে ডাকাতি
ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিল ডাকাতদল। শনিবার ঘাটালের সুলতানপুর সংলগ্ন নিমতলায় ঘটনাটি ঘটে। দরজা ভেঙে স্থানীয় ধান ও সার ব্যবসায়ী মলয় চৌধুরীর বাড়িতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। ভয় দেখিয়ে নগদ লক্ষাধিক টাকা ও কিছু সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় তারা। তদন্ত শুরু করেছে ঘাটাল থানার পুলিশ। পুলিশের অনুমান, মলয়বাবুর পরিচিত কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। শনিবারই ধান বিক্রি করে নগদ লক্ষাধিক টাকা পেয়েছিলেন মলয়বাবু। ওই টাকা যে বাড়িতেই ছিল, তা জানত দুষ্কৃতীরা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.