প্রকাশ হবে ওয়েবসাইটে
তফসিলি হস্টেলের হাল ফেরাতে শুরু তথ্য সংগ্রহ
রকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হস্টেলগুলির নথি সংগ্রহে নামল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। নথি ছিল না এমন নয়। কিন্তু স্কুল বা হস্টেলগুলির পাঠানো নথি একশো শতাংশ ঠিক কি না তা নিয়ে সংশয় থাকার কারণেই নতুন করে নথি সংগ্রহে নামল প্রশাসন। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ আধিকারিক রাহুল নাথ বলেন, “এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা থাকলে হস্টেল সম্বন্ধে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিতে নানা সুবিধে হবে। হস্টেল সম্বন্ধীয় তথ্য দফতরের ওয়েবসাইটেও রাখা হবে। যাতে সকলেই তথ্য জানতে পারে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নানা স্তরের ৪৬০টি হস্টেল রয়েছে। যেখানে তফসিলি ছাত্রছাত্রীরা থাকে। এর মধ্যে স্কুলের হস্টেলের সংখ্যা ৪০৫, আশ্রম হস্টেলের সংখ্যা ৫০ ও কেন্দ্রীয় হস্টেলের সংখ্যা ৫। যে হস্টেলগুলিতে ২৫ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী থাকে, তাদের থাকা-খাওয়ার খরচ তো বটেই, এমনকী বিভিন্ন সময়ে পোশাক-পরিচ্ছদও দেয় সরকার। স্কুলের চাহিদা অনুযায়ী অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর হস্টেলের আসন সংখ্যা মঞ্জুর করে। সেই সংখ্যা অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ করে সরকার। সঠিক তথ্য না-থাকায় এক্ষেত্রে প্রায়শই ত্রুটি থেকে যায়। কোনও স্কুল ৯০ জন ছাত্র রাখার অনুমোদন পেলেও হয়তো সেখানে ৭০ জন ছাত্র রয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ মিলছে ৯০ জনের। আবার কোনও স্কুল ৫০ জন ছাত্র রাখার অনুমোদন পেলেও সেখানে ছাত্রের চাপ এতটাই বেশি যে ৬৫ জনকে রাখতে বাধ্য হয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ফলে কোথাও বেশি টাকা পেয়ে কম ছাত্র থাকছেন, আবার কোথাও বেশি ছাত্র থাকলেও বরাদ্দ মিলছে কম। এই ধরনের ঘটনা আটকাতে, তথ্য সংগ্রহের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীর নাম, বাবার নাম, কোন ক্লাসে পড়ে, ছাত্র বা তার বাড়ির ফোন নম্বর (যদি থাকে), ছবি-সহ সমস্ত ধরনের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। থাকবে হস্টেল সুপারের নাম ও ফোন নম্বরও। যাতে হস্টেলে প্রকৃত কত জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে তা সহজেই বোঝা যায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাতে কোনও স্কুল কারচুপি করতে না পারে সে জন্য বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শন করা হয়। কিন্তু দফতরেরই এক শ্রেণির কর্মীদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ থাকায় পরিদর্শনের আগেই স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে যান। ফলে হঠাৎ করে হস্টেল পরিদর্শনে গিয়েও খুব একটা সুফল মেলে না। হস্টেলগুলি সম্পর্কে তথ্য নথিভুক্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে থাকলে এই কারচুপি করা কঠিন হবে বলেই প্রশাসনিক কর্তাদের অনুমান। তারই সঙ্গে বছরের পর বছর কোনও স্কুলের হস্টেলে ছাত্র সংখ্যা কম থাকলে তার বরাদ্দ ছেঁটে অন্য স্কুলকে সহজেই দেওয়াও যাবে। তখন সংশ্লিষ্ট স্কুলের এ বিষয়ে কিছু বলার সঙ্গত কারণ থাকবে না।
হস্টেলের পরিকাঠামোগত অবস্থার কথাও উল্লেখ থাকবে এই তথ্য ভাণ্ডারে। হস্টেলে ক’টি ঘর রয়েছে, আরও ঘর প্রয়োজন কি না, শৌচাগার ক’টি, শৌচাগারের অবস্থা কেমন, রান্নাঘর কেমন, রাঁধুনি ক’জন, সাহায্যকারী ক’জন এই সব তথ্যও থাকবে। যাতে ভবিষ্যতে হস্টেলের উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলে যে হস্টেলের পরিকাঠামো সব থেকে বেশি খারাপ সেই হস্টেলের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রশাসন জানিয়েছে, সমস্ত স্কুলেই এই সমস্ত নথি পাঠাতে বলা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করা হবে।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.