|
|
|
|
ফাঁসানো হয়েছে, দাবি সিপিএমের |
শিলদায় অস্ত্র-সহ ধৃত সিপিএম নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিনপুর |
শিলদার এক সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সমেত গ্রেফতারের দাবি করল পুলিশ। ধৃত বছর ছত্রিশের মলয় হালদারের বাড়ি বিনপুর থানার শিলদা অঞ্চলের শুকজোড়া গ্রামে। তিনি সিপিএমের শিলদা লোকাল কমিটিরও সদস্য। পুলিশের দাবি, শনিবার রাতে শিলদার রাস্তা থেকে মলয়বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান ও এক রাউণ্ড গুলি এবং একটি নম্বর প্লেটহীন মোটর সাইকেল উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ। রবিবার তাঁকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে মলয়বাবুকে তিনদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়। অভিযুক্তের আইনজীবী কাজল মাহাতো আদালতে অভিযোগ করেন, “দু’দিন আগেই মলয়বাবুকে আটক করেছিল বিনপুর থানার পুলিশ। বেআইনি ভাবে আটক রেখে তাঁকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।”
বিনপুরের সিপিএম বিধায়ক দিবাকর হাঁসদার দাবি, “গত শুক্রবার রাতে শিলদা বাজার থেকে পুলিশ মোটর সাইকেল সমেত মলয়বাবুকে ধরে নিয়ে যায়। ওই রাতেই এবং শনিবার দফায় দফায় আমি ও দলের নেতারা বিনপুর থানায় গিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, কেন মলয়বাবুকে আটক করা হয়েছে। তখন পুলিশ জানিয়েছিল, মলয়বাবুর মোটর সাইকেলের নম্বর প্লেট নেই। মলয়বাবুর মোটর বাইকের বৈধ নথিপত্র থানায় জমা দেওয়া হয়েছিল। নম্বর প্লেটটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনি নতুন করে তা লেখাতে দিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে নম্বর প্লেট না থাকার জন্য যে ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা পুলিশ নেয়নি। শাসক-দলের কথায় শনিবার রাতে মলয়বাবুকে অস্ত্রসমেত গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। পুলিশ-প্রশাসনের নামে প্রহসন চলছে। জনগণ সব দেখছেন।” দিবাকরবাবুর অভিযোগ, “এলাকায় তৃণমূলের কোনও সংগঠন নেই, সেই কারণেই সিপিএমের নেতা-কর্মীদের সাজানো ঘটনায় গ্রেফতার করা হচ্ছে।” ঝাড়গ্রামের এসপি ভারতী ঘোষের অবশ্য দাবি, মলয়বাবুকে অস্ত্র সমেত শনিবারই ধরা হয়। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, “সিপিএমের হার্মাদগিরি ফের প্রকাশ্যে এসে পড়ায় মুখ বাঁচাতে ওরা আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।”
সারদা কাণ্ড নিয়ে মে দিবসের প্রকাশ্য সভায় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশকে জড়িয়ে মন্তব্য করার অভিযোগে শনিবার শিলদার বাসিন্দা ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য স্বপন ফৌজদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল বিনপুর থানার পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, রবিবার নয়াগ্রাম ব্লকের খড়িকামাথানিতে সিপিএমের নয়াগ্রাম জোনাল কার্যালয়ে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের উদ্যোগে একটি আদিবাসী কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। ওই কনভেনশনে যোগ দিতে এসেছিলেন ঝাড়গ্রামের সিপিএম সাংসদ পুলিনবিহারী বাস্কে। সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিনবাবুকে লক্ষ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের লোকজন। সিপিএমের দাবি, পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। তৃণমূলের দাবি, উন্নয়নের দাবিতে এলাকাবাসী ওই বিক্ষোভ ।
|
|
|
|
|
|