বয়স থাবা বসালেও তিনি এখনও এক নম্বরে। ৩১ বছর বয়সে এসে মেয়েদের টেনিসে তাঁর মতো এমন দাপটের সঙ্গে বিশ্ব র্যাঙ্কিং শাসন করার রেকর্ড নেই স্টেফি গ্রাফ, মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার মতো কিংবদন্তিরও। কোর্টের মধ্যে তিনি ঠিক যতটা ক্ষুরধার, কোর্টের বাইরে তাঁর জনপ্রিয়তা ততটাই আকাশ ছোঁয়া। সাংঘাতিক রকমের ফ্যাশন সচেতন, মিশুকে আর বন্ধুবৎসল। আর হ্যাঁ, জুনিয়রদের জন্য তাঁর সাহায্যের হাত সবসময় নাকি বাড়ানো।
১৫ গ্র্যান্ড স্লামের মালকিন সেরেনা উইলিয়ামসের ইমেজটা এরকমই ঝকঝকে।
কিন্তু সেই ইমেজ এ বার তছনছ করে দিতে চান বিশ্বের সতেরো নম্বর মার্কিন তারকা। চলতি মরসুমের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর সবাই যাঁকে চেনে সেরেনার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জার হিসেবেই। সেই স্লোয়ানে স্টিফেন্স নিজের এক সাক্ষাৎকারে সেরেনাকে নিয়ে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন। মূল সাক্ষাৎকার প্রকাশ হতে এখনও এক সপ্তাহের উপর দেরি আছে। কিন্তু তার আগেই স্লোয়ানে যা বলেছেন তার কিছু অংশ ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে টেনিস বিশ্বে!
কী বলেছেন স্লোয়ানে?
“অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে আমার কাছে হারার পর থেকে আমার সঙ্গে একটা শব্দও বিনিময় করেনি সেরেনা। কোনও সৌজন্য দেখানো দূরে থাক, মুখোমুখি পড়ে গেলেও ফিরে তাকায়নি। শুধু তাই নয়, নিজের টুইটার আর ব্ল্যাকবেরি মেসেঞ্জার থেকে ও আমায় সরিয়ে দিয়েছে। আর এত কিছু করেছে এত দিন ধরে আমার সম্পর্কে ভাল ভাল কথা বলে আসার। তা হলেই ভাবুন!” বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে বলেছেন স্লোয়ানে।
ক্ষোভের লাভাস্রোত এখানেই থামেনি। সাক্ষাৎকারের মাঝে স্লোয়ানেকে চুপ করাতে গিয়েছিলেন তাঁর মা। তোয়াক্কা না করে স্লোয়ানে বলে যান, “সবার জানা উচিত সেরেনা কী রকম মানুষ। সবাই ভাবে ও খুব মিশুকে। একেবারেই নয়। যদি সত্যিই মিশুকে হত, তা হলে আমাকে এ ভাবে সব কিছু থেকে ছেঁটে ফেলে দিতে পারত না। এই কারণেই আমার ফেভারিট প্লেয়ার এখন সেরেনা নয়, কিম ক্লিস্টার্স।” |
এত দিন টেনিস সার্কিটে চালু ছিল যে, সেরেনাই তুলে এনেছেন স্বদেশী স্লোয়ানেকে। তাঁর মেন্টরও তিনি। কিন্তু স্লোয়ানে প্রবল প্রতিবাদ করে বলেছেন, “গত ১৬ বছরে মাত্র একটি শব্দ আমার জন্য খরচ করেছে সেরেনা। কী ভাবে ও আমার মেন্টর হয়? ১২ বছর বয়েসে এক বার ভেনাস আর সেরেনার অটোগ্রাফ নিতে অনেক উৎসাহে ফেডারেশন কাপে ওদের দু’জনের একটা পোস্টার নিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের পাশ দিয়ে বার তিনেক গেলেও সারা দিন অপেক্ষা করার পর একটাও অটোগ্রাফ দিল না ওরা। তখন থেকেই আমার প্রিয় তারকা ক্লিস্টার্স।”
প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে কোর্টের লড়াই কোর্টের বাইরে এনে ফেললেন স্লোয়ানে। বরাবর নিজের চ্যালেঞ্জারকে দুমড়ে দিতে অভ্যস্ত সেরেনা এ বার পারবেন তো তারুণ্যের এই ঝড় সামলাতে? |