হুগলি জেলার সাতটি ব্লকের তপসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় দেড় কোটি টাকা পড়ে আছে বছর দেড়েক ধরে। প্রকল্প আধিকারিক তথা জেলা কল্যাণ আধিকারিক প্রতিমা দাস বলেন, “বিডিওদের বলেছি স্থানীয় সমস্যা থাকলে তা দ্রুত মিটিয়ে কাজ শুরু করতে। টাকা ফেলে রাখবেন না। আরও দেরি হলে খরচ বেড়ে গিয়ে প্রকল্প ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।” বিডিওরা কাজের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানান প্রতিমাদেবী।
হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ২০১১ সালের শেষ দিকে জেলার ১৮টি ব্লকে তপসিলি এলাকার বিবিধ পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সহায়তা ও রাজ্য পরিকল্পনা বরাদ্দের তহবিল মেলে। এ বছর এপ্রিল মাসের শেষ দিকে সংশ্লিষ্ট জেলা দফতরের নজরে পড়ে ধনেখালি, পাণ্ডুয়া, গোঘাট ১, খানাকুল ১, পোলবা দাদপুর, সিঙ্গুর এবং আরামবাগ ব্লকে ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮১ টাকা সদ্ব্যবহারের শংসাপত্র নেই। এপ্রিলের ২০ তারিখ প্রকল্প আধিকারিক সংশ্লিষ্ট বিডিওদের চিঠি পাঠান। ধনেখালি ব্লকের কনুইবাঁকা ও তালবোনা নামের দু’টি মৌজায় দু’টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রায় ২ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা করে তহবিল মেলে। পাণ্ডুয়া ব্লকে ছিল দু’টি রাস্তা নির্মাণ, গোঘাট ১ ব্লকে দু’টি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস নির্মাণ, খানাকুল ১ ব্লকে একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ, পোলবা দাদপুরে একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক এবং একটি নিকাশি নালা, সিঙ্গুর ব্লকে দু’টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য দু’টি মুরগি খামার এবং আরামবাগ ব্লকের দু’টি স্কুলে ছাত্রাবাস সংস্কার ও একটি স্কুলে গুদাম-সহ রান্নাঘর তৈরির কথা ছিল ওই টাকায়।
প্রকল্পগুলি কেন রূপায়ণ হয়নি?
ধনেখালি ব্লকের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কনুইবাঁকায় জায়গা পাওয়া নিয়ে সমস্যা ছিল। আর তালবোনায় ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতি ছিল। তালবোনায় এখন কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কনুইবাঁকার সমস্যা মেটেনি। আমরা অন্য মৌজায় চেষ্টা করছি।” ৫০ শতাংশর বেশি তপসিলি অধ্যুষিত এলাকা হলে তবেই সেখানে প্রকল্পটি রূপায়ণ করা যায়। আরামবাগের বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, “কাজ শুরু হয়েছে। যথাযথ তদারকি চলছে।” গোঘাট ১ বিডিও দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের কথায়, “ভুল-ত্রুটি শুধরে কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।” খানাকুল ১ বিডিও গোবিন্দ মণ্ডল জানান, ঠিকাদারের গড়িমসি ছিল। চাপ সৃষ্টি করে কাজ শুরু করানো হয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান সিঙ্গুর বিডিও বিষ্ণু কবিরাজও। পোলবা-দাদপুর-পাণ্ডুয়া ব্লকেও কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। |