|
|
|
|
চিনা সেনা সরে গেল, স্বস্তিতে নয়াদিল্লি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কয়লা কেলেঙ্কারি থেকে পবন বনশল কাণ্ড- একের পর এক ঘটনায় মুখ পুড়ছে কেন্দ্রের। তখনই চিন-ভারত কূটনীতিতে সাফল্য পেল ভারত।
কূটনৈতিক চাপে শেষ পর্যন্ত লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড ছেড়ে চলে গেল চিনা সেনা। রবিবার সন্ধ্যায় চিনা সেনারা ফিরে যায় বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে লাদাখের দৌলত বেগ সেক্টরে ওই এলাকা থেকে সরে এসেছে ভারতীয় সেনারা। গত ১৫ এপ্রিল লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের ১৯ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে আসে চিনা সেনা। তাঁবু খাটিয়ে শিবিরও তৈরি করে। ফলে ওই এলাকায় সেনা পাঠায় ভারতও। চিনা সেনার মুখোমুখি ঘাঁটি গাড়ে তারা। শুরু হয় স্নায়ুযুদ্ধ। সেই সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা।
প্রথমে বিষয়টিকে প্রকাশ্যে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চায়নি ভারত সরকার। কিন্তু, বিষয়টি নিয়ে সংসদে হইচই শুরু করেন বিরোধীরা। ৯ মে চিনে যাওয়ার কথা বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদের। খুরশিদ আদৌ যাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। চিনা সেনা না সরলে খুরশিদের যাওয়া উচিত নয় বলেও ইঙ্গিত দেয় ভারত সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, শেষ পর্যন্ত উচ্চ স্তরের আলোচনায় সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয় চিন। কূটনীতিকদের মতে, প্রথম থেকেই বিষয়টিকে সীমান্তের একটি ছোট সমস্যা হিসেবে দেখিয়ে উচিত কাজই করেছে মনমোহন সিংহ সরকার। কারণ, এই অবস্থানের ফলে ওই ঘটনার প্রভাব গোটা চিন-ভারত সম্পর্কের উপরে পড়েনি। প্রধানমন্ত্রী থেকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র, সকলেই বার বার জানিয়েছেন এই ঘটনা দিয়ে গোটা চিন-ভারত সম্পর্ককে বিচার করা উচিত নয়। সম্প্রতি নেতৃত্ব বদল হয়েছে চিনে। ২০ মে ভারত সফরে আসার কথা চিনা প্রধানমন্ত্রী লে কেকিয়াংয়ের। বাণিজ্যিক সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটাতে চায় ভারত। তাই চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে বেশি হইচই চায়নি কেন্দ্র। কেবল কূটনৈতিক পথে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে তাদেরই। |
|
|
|
|
|