|
|
|
|
অসমে তিরন্দাজের মৃত্যু ঘিরে চলছে চাপান-উতোর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রাজ্যের তিরন্দাজ প্রতিমা বড়োর মরদেহ পুনে থেকে গুয়াহাটি পৌঁছল। শুক্রবার সকালে পুনের আর্মি স্পোট্র্স ট্রেনিং সেন্টারের একটি ঘর থেকে প্রতিমার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। জাতীয় দল নির্বাচনী শিবিরে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, বিছানার চাদর গলায় বেঁধে প্রতিমা আত্মঘাতী হন। কর্মকর্তাদের তরফে জানানো হয়, প্রতিমা সম্ভবত অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। কিন্তু অসম তিরন্দাজ অ্যাসোসিয়েশন, পুলিশের ব্যাখ্যা ও জাতীয় শিবিরের কর্মকর্তাদের মনোভাবে খুশি নয়। তারা ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি তুলেছে।
২৩ বছরের প্রতিমার বাড়ি কোকরাঝাড়ের মালোগুড়ি গ্রামে। টাটা আর্চারি অ্যাকাডেমির ছাত্রী প্রতিমা ২০০৩ সালে তিরন্দাজি শুরু করেন। ২০০৯ সালের সাংহাই বিশ্বকাপে ভারতীয় রিজার্ভ দলের (চতুর্থ পর্যায়) সদস্য ছিলেন তিনি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও ভারতীয় জাতীয় দলে তিনি স্থান পান। ২০০৮ সালের এশিয় গ্রাঁ প্রি-তে চ্যাম্পিয়ন প্রতিমার রিও অলিম্পিক দলে স্থান পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। এশিয় গ্রাঁ প্রি ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই শিবিরে, প্রতিমা ছাড়াও অসমের আরও আট তিরন্দাজ অংশ নিয়েছিলেন। ১০ জুন অবধি শিবির চলার কথা।
অসম আর্চারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়ন্ত বড়ো বলেন, “কতটা হতাশা ও মানসিক চাপে থাকলে এত অল্পবয়সে প্রতিমার মতো প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন একজন ক্রীড়াবিদ নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা ভাবতে পারে? কেন প্রতিমা জাতীয় শিবিরে গিয়ে এমন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল, পুলিশ, সাই ও ভারতীয় তিরন্দাজি অ্যাসোসিয়েশন তার তদন্ত করুক।” বড়োর আরও অভিযোগ, “বোঝাই যাচ্ছে শিবিরে ক্রীড়াবিদদের উপরে ঠিকমতো নজর রাখা হয় না।”
প্রতিমার বাবা রামাল বড়োও মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনা মানতে পারছেন না। তাঁর প্রশ্ন, কাল সকালেও মেয়ে খুশি মনে ফোনে কথা বলেছে। গলায় কোনও অবসাদ বা অশান্তির চিহ্নও তিনি পাননি। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মেয়ে কেন এমন চরম পদক্ষেপ নেবে? দরিদ্র পরিবারটি তীরন্দাজ কন্যার হাত ধরেই স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছিল। বড়ো স্বশাসিত পরিষদের প্রধান, হাগ্রামা মহিলারির কথায়, “প্রতিমার মৃত্যু বড়োভূমি তথা অসমের পক্ষে অপূরণীয় ক্ষতি। বেঁচে থাকলে তিনি দেশের জন্য আরও অনেক পদক আনতে পারতেন।” |
|
|
|
|
|