|
|
|
|
মেঘালয় |
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে
পিএইচডি বিলি করার অভিযোগ |
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি |
নিয়ম না মেনে পিএইডি ডিগ্রি বিলির অভিযোগে মেঘালয়ের বিতর্কিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, চন্দ্রমোহন ঝা বিশ্ববিদ্যালয়ে হানা দিল সিআইডি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে এই বিশ্ববিদ্যালয় মেঘালয়, অসম-সহ উত্তর-পূর্বের মোট ৪৩২ জন ছাত্রছাত্রীকে পিএইডি ডিগ্রি দিয়েছে। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে পিএইডি প্রকল্পে ৪৯০ জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ ওঠে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিয়ম না মেনে ঢালাও ভাবে ডক্টরেট ডিগ্রি দিচ্ছে সিএমজে বিশ্ববিদ্যালয়। মেঘালয় ও অসমে এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে।
অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিষয়টি নিয়ে মেঘালয় সরকারের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন। এরপরেই মেঘালয়ের রাজ্যপাল রঞ্জিৎ শেখর মুশাহারির দফতর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
সিআইডি তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়। শুক্রবার সিআইডির একটি দল বিশ্ববিদ্যলায়ে হানা দিয়ে বহু বিভাগ সিল করে দেয়। প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের ঘর থেকে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। লাইটুমুখরার ভবনটিও সিল করে দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার প্রেমলাল রাই অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিআইডি হানার ঘটনা নিন্দনীয়। কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, “আমরা বেআইনি ভাবে কোনও ডিগ্রি দিইনি। কিছু ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। বাকি ডিগ্রি দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে মাত্র। ছাত্রছাত্রীদের যোগ্যতা বিচারের পরেই ডিগ্রি আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হবে। অসমের কাউকে ডিগ্রি দেওয়া হয়নি।”
অবশ্য রাজ্যপালের দফতরের তরফে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে চারশোরও বেশি ছাত্র, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই অসমের, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছে। রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছেন, সিএমজে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রদত্ত ডক্টরেট যেন প্রত্যাহার করা হয়। রাজ্যের মুখ্যসচিব এম এস রাও ৩০ এপ্রিল সিএমজে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য চন্দ্রমোহন ঝাকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যলায়ের চারটি আইনভঙ্গের ঘটনা নিয়ে সরকারিভাবে অভিযোগ করেছেন। চিঠিতে কেবল ডিগ্রি প্রদানই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা প্রক্রিয়াও বেআইনি বলা হয়েছে। অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, “মেঘালয় সরকারের কাছে সিএমজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডক্টরেট’ প্রদান প্রক্রিয়ায় বেনিয়মের বিষয়ে বিশদ তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জবাব পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের প্রতারণা করতে পারে না।”
এ দিকে, এই ডামোডোলের মধ্যে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। লাইটুমুখরা ভবন বন্ধ। বিভিন্ন বিভাগ সিল হওয়ার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
২৪ মে এখানে পরীক্ষা। কর্তৃপক্ষ অবশ্য ভরসা দিচ্ছেন, পরীক্ষা সময় মতোই হবে। |
|
|
|
|
|