সল্টলেকের বিতর্কিত জমিতে সুইমিং পুলের শিলান্যাস অনুষ্ঠান এড়িয়ে গেলেন রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী থেকে আধিকারিকেরা। রবিবার শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ছিলেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ভাইস-চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত, সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, বিধায়ক সুজিত বসু-সহ অনেকেই। কিন্তু আমন্ত্রণপত্রে নাম থাকলেও গরহাজির ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন না ওই দফতরের কোনও আধিকারিকও।
অনেক দিন আগেই সল্টলেকের সি জে ব্লকে সুইমিং পুল প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল পুরসভা। অভিযোগ, জমিটি আগেই অন্য এক বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। অন্য সংস্থাকে দেওয়া জমিতে কী ভাবে পুনরায় সুইমিং পুল তৈরি ঘোষণা করা হয় এবং কী ভাবেই বা সেই প্রকল্পের শিলান্যাস করা হল এই প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ওই সংস্থা। সরকারি সূত্রের খবর, এই বিতর্ক থেকে দূরে থাকতেই এ দিন অনুষ্ঠানটি এড়িয়ে গিয়েছেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী-আধিকারিকেরা। |
সল্টলেকে বিতর্কিত জমিতে সুইমিং পুলের শিলান্যাস। |
জমিটি নিয়ে বিতর্কের কারণেই যে অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছেন, তা ঠারেঠোরে স্বীকার করে নিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “বিষয়টি ইতিমধ্যেই আদালতে গড়িয়েছে। সে কারণেই অনুষ্ঠানে যাইনি।” পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জমি বিষয়ক বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ওই জমি পুরসভাকে দেওয়া হয়েছিল। তবে আগে সেটি অন্য কাউকে দেওয়া হয়েছিল কি না, তা তাঁর জানা নেই। ফিরহাদ বলেন, “জমিটা বহু দিন থেকেই পড়ে আছে। সে ক্ষেত্রে কাউকে জমিটা দেওয়া হলেও তা বাতিল হয়ে গিয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।
যদিও সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের মতে, “পানিহাটিতে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় পুরমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কথাও হয়েছে। জমি পুরসভাকেই দেওয়া হয়েছে। সুতরাং জমি নিয়ে কোনও সমস্যাই নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।”
এ দিন সন্ধ্যায় শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা অবশ্য জানিয়েছেন, নগরোন্নয়ন দফতর এই জমি পুরসভাকেই দিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, “আমরা উন্নয়নমূলক কাজ করছি, তা অনেকেই পছন্দ করছেন না। ষড়যন্ত্র চলছে।” |