দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর জখম হলেন দুই লরি চালক। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকে একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানার সামনে। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানায়, সম্ভবত ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই এসেছিল দুষ্কৃতীরা। তবে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হাওড়ার শালিমার থেকে দু’টি লরি এসেছিল ওই কারখানা থেকে ইস্পাতের বার নিতে। সেগুলি দাঁড়িয়েছিল কারখানার গেটের সামনে। হঠাৎ রাত ১০টা নাগাদ জনা কয়েক দুষ্কৃতী একটি লরির চালক দেবেন্দ্র সিংহকে লরি থেকে টেনে নামিয়ে রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। তাঁর দুটি দাঁত ভেঙে যায়। সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, ঘড়ি ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। |
দেবেন্দ্রবাবুকে বাঁচাতে ছুটে আসেন অপর লরির চালক অশোককুমার দাস ও খালাসি মিথিলেশ কুমার। দুষ্কৃতীরা দেবেন্দ্রবাবুকে ছেড়ে তাঁদের উপরে চড়াও হয়। রড, লাঠির ঘায়ে জখম হন অশোকবাবু। তাঁর থেকেও টাকা কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এই সময়ে আশপাশের কয়েকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালায়। পুলিশ গিয়ে দেবেন্দ্রবাবু ও অশোকবাবুকে হাসপাতালে পাঠায়। রবিবার সকালে হাসপাতালে বসে দেবেন্দ্রবাবু জানান, দুষ্কৃতীরা দলে ছিল জনা পাঁচেক। তিনি বলেন, “নগদ বেশ কিছু টাকা, ঘড়ি ও মোবাইল নিয়ে গিয়েছে ওরা।” অশোকবাবুর দাবি, “আমার বেশ কয়েক হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে মোবাইলটি নেয়নি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন লরি চালকের দাবি, তাঁদের কাছে মাঝে-মাঝেই মোটা টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। তাঁদের অভিযোগ, এই শিল্পতালুকের রাস্তাঘাটে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। বাইরে থেকে এসে এ ভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে শ্রমিক মহলেও। ওম কুমার নামে কারখানার এক ঠিকা শ্রমিক বলেন, “রাতে কাজে যাওয়ার সময়ে সঙ্গে মোবাইল ফোন থাকে। কিছু টাকাও রাখতে হয়। পুলিশ নজরদারি না বাড়ালে দুষ্কৃতীদের সাহস বেড়ে যাবে।” পুলিশের আশ্বাস, রাতে ওই এলাকায় টহল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। |