পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা তুলে প্রতারণা করার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বিকালে রায়গঞ্জের কসবায় রাজ্য চতুর্থ সশস্ত্র আরক্ষা বাহিনীর দফতরের সামনে থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম কার্তিক সিংহ, শান্তনু সিংহ ও সমর পাল। তাদের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর থানার সুতির মাঠ এলাকায়। কার্তিকবাবু বহরমপুর পুলিশ লাইনের পুলিশ ক্যান্টিনের মালিক। শান্তনুবাবু তাঁর ছেলে। সমরবাবু তাদের প্রতিবেশী। ধৃতদের বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক অঞ্জনকুমার সেনগুপ্ত তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ করে কার্তিকবাবুকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, শান্তনুবাবু ও সমরবাবুকে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রী সরকার বলেন, “ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রতারণা ও জাল নথি তৈরির করার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়।” এর পরে বিচারক ধৃতদের জামিনের আর্জি নাকচ করে দেন।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে ধৃতরা বুধবার মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকার ২৬ জন যুবককে রায়গঞ্জের কসবায় রাজ্য চতুর্থ সশস্ত্র আরক্ষা বাহিনীর দফতরের নিয়ে এসেছিল। সেই সময় পুলিশ খবর পেয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত রয়েছে, তা জানতে ধৃতদের জেরা হচ্ছে।” তিনি জানান, এই ঘটনায় আরও দুজনের খোঁজ চলছে। পুলিশ সুপার বলেন, “তাঁরা হলেন, মুর্শিদাবাদ থানার কনস্টেবল গোপাল মৈত্র ও ধৃত কার্তিকবাবুর ভাই গণেশ সিংহ। সমস্ত বিষয় লিখিতভাবে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” মুর্শিদাবাদের(সদর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “গোপাল মৈত্র ও গণেশ সিংহের খোঁজ চলছে। গোপালবাবুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” |