খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে এক রোগিণীর মৃত্যুতে পাত্রসায়র ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলল মৃতার পরিবার। ঘটনার প্রতিবাদে মৃতার পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৃতা মীরা বাগ (৫২) পাত্রসায়র থানার বোড়লবাঁদি এলাকার বাসিন্দা। বুধবার দুপুরে পেটব্যথা, বমি, পায়খানার উপসর্গ নিয়ে মীরাদেবী ও তাঁর পুত্রবধূ কাকলি বাগ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় মীরাদেবীর। তাঁর ছেলে সুজিত বাগের অভিযোগ, “মাঝরাত থেকেই মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কিন্তু নার্স বা চিকিৎসকেরা তাঁর প্রতি গুরুত্ব দেননি। এ দিন সকালে যখন মায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়, তখন এক ডাক্তার এসে চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই মা মারা যান।” এর পর পরিবারের লোকের জোরাজুরিতে কাকলিদেবীকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠানো হয়। কাকলিদেবীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলেই হাসপাতাল সূত্রের খবর। সুজিতবাবুর প্রশ্ন, “মায়ের অবস্থার অবনতি হওয়ার পরেও ডাক্তাররা কেন তাঁকে বাঁকুড়ায় রেফার করলেন না?”
ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক সুনীল ঘোষ বলেন, “মীরাদেবীর বমি, পেটব্যথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মাঝরাত থেকে নয়, এ দিন সকাল সাতটার পর থেকে মীরাদেবীর অবস্থার অবনতি হয় ও তিনি মারা যান।” মৃতার পরিবার অবশ্য কোথাও লিখিত অভিযোগ করেনি। মীরাদেবীর দেহ ময়নাতদন্ত না করিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শ্মশানে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। পাত্রসায়র ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক উজ্বল মণ্ডল বলেন, “মৃতার পরিবারের লোকজনের মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই ওই মৃত্যু বলে আমরা নিশ্চিত। তাই একে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা যায় না।” তবে, মীরাদেবীর চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান। |