সারদা গোষ্ঠীর কলকাতার অফিসের কর্মী জলপাইগুড়ির বাসিন্দা পৌলোমী ঘোষের মাইনে সংক্রান্ত ভুল তথ্য রটানোর জন্য সংস্থারই একাংশ সক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সারদা গোষ্ঠীর জলপাইগুড়ির এজেন্ট ও আমানতকারীদের একাংশ পৌলোমীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। পৌলোমী একজন পেশাদার হিসেবে ওই সংস্থার কর্মী হওয়া সত্ত্বেও কে বা কারা কেন তাঁর নামে মিথ্যে রটনা করছেন, সেই প্রশ্নে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জলপাইগুড়ির এজেন্ট, আমানতকারীদের অনেকেই। এজেন্টদের একাংশের সন্দেহ, সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায় গ্রেফতারের পরে পৌলোমীদেবীর সম্মানহানির জন্য একটি মহল আসরে নামে। পৌলোমীদেবী বলেন, “আমার মাইনে ১৭ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৫০ হাজার টাকা হওয়ার তথ্য পুরোপুরি মনগড়া। সংস্থার কর্ণধার মাইনের একাংশের চেক দিতেন বলে যা রটানো হয়েছে তাও ভিত্তিহীন। এ ধরনের অসত্য, মনগড়া তথ্য দিয়ে আমার সম্মানহানির চেষ্টা হয়েছে। একজন কর্মী হিসেবে সংস্থার পরিচালন মন্ডলীর সঙ্গে যে সম্পর্ক থাকে আমারও তা-ই ছিল।” মোহন্তপাড়ার বাসিন্দা পৌলোমীদেবী সাংবাদিকতা পাশ করে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। এর পরে সারদা গোষ্ঠীতে যুক্ত হন তিনি। পৌলোমীদেবী জানান, সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধারের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছিল না। এমনকী, কর্ণধারের অফিসের পাশের ঘরে বসা কিংবা দেবযানী দেবীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরির বিষয়টিও ভিত্তিহীন বলে তিনি উড়িয়ে দেন। এজেন্টকা জানান সংস্থার মধ্যে পৌলমীদেবীর পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিই ছিল।
|
সেবকে তিস্তা নদী বেণী দিয়ে দড়িতে ঝুলে পার হতে গিয়ে মৃত হোমগার্ড শৈলেন্দ্রনাথ রায়ের পরিবারের কাউকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার দাবি জানাল দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার দলের তরফে দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জেলা বামফ্রন্টের পক্ষে জীবেশ সরকার বলেন, “শৈলেনবাবু শিলিগুড়ি তথা রাজ্যের গর্ব ছিলেন। তাঁর বিশ্বরেকর্ড রয়েছে। ফলে তার অভিযানকে হালকা ভাবে দেখা ঠিক হয়নি। তার মৃত্যুর দায় কার তা বের করে আনতে আমরা উপযুক্ত তদন্তের দাবি করছি।” শৈলেন্দ্রর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবিও জানান জীবেশবাবুরা।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন,“আমরা যা করার করব। তা নিয়ে বামফ্রন্টের পরামর্শের কোনও দরকার নেই। বরং শৈলেন্দ্রনাথবাবু এতগুলো কৃতিত্বের অধিকারী হওয়া সত্বেও তাঁকে কেন চাকরিতে স্থায়ী করা গেল না সেটা সিপিএম ভাবুক। আমরা শুধু ক্ষতিপূরণই নয়, কী ভাবে পরিবারকে সাহায্য করা যায় সে জন্য চাকরি দিতে নথি চেয়ে পাঠিয়েছি।” প্রসঙ্গত গত ২৮ এপ্রিল সেবকের করোনেশন সেতু সংলগ্ন তিস্তা নদীর উপরে পাহাড়ের এক পার থেকে অন্যপারে বেণীর সাহায্যে পার হতে গিয়ে মাঝপথেই কপিকলে চুল আটকে যায়। সেখানেই বেশ কিছুক্ষণ ঝুলে থাকার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন শৈলেন্দ্রনাথ। ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় তাঁকে নামিয়ে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
|
জিএনএলএফ প্রধান সুবাস ঘিসিং যে কোনও সময় দার্জিলিং পাহাড়ে যাবেন বলে ফের দলের তরফে ঘোষণা করা হল। বৃহস্পতিবার দলের কালিম্পং মহকুমার আহ্বায়ক মৌরিশ কালিকূটে ওই দাবি করেন। তিনি জানান, আশির দশকে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর সুবাস ঘিসিং-র নেতৃত্বেই পার্বত্য পরিষদ তৈরি হয়ে পাহাড়ে শান্তি ফেরে। পরবর্তীকালে পরিষদকে সংবিধানের আওতায় এনে ষষ্ঠ তফসিলের কাজ করছিলেন ঘিসিং।
২০০৭-এ মোর্চার উত্থানে পাহাড়ে সংঘর্ষের আশঙ্কায় স্বেচ্ছায় ঘিসিং পাহাড় ছাড়েন। তবে বর্তমানে যা অবস্থা তাতে সুবাস ঘিসিং ছাড়া পাহাড় সুরক্ষিত নয়। তাই যে কোনও সময় তিনি দার্জিলিং যাবেন। দলের তরফে ঘিসিংকে স্বাগত জানানোর জন্য পাহাড়বাসীকে তৈরি থাকারও আবেদন জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মিরিক ও কার্শিয়াঙে খুব দ্রুত জনসভা করা হবে বলে মৌরিশ কালিকূটে জানিয়েছেন। সম্প্রতি, জলপাইগুড়ি ছেড়ে ঘিসিং মাটিগাড়ায় এসে বসবাস করছেন।
|
আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া এক গৃহবধূর দেহ চুপিসারে ফালাকাটায় কবর দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দফতরে এ ব্যাপারে অভিযোগ জমা দেন মৃতের মা। শ্বশুর বাড়ির অত্যাচারে ওই বধূ গায়ে আগুন দিয়েছিল বলে ফালাকাটা থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেন। পুলিশ জানান, মৃতার নাম হালিমা খাতুন (২৭)। মৃতের মা অভিযোগ জানিয়েছেন, গত ১৫ মার্চ হালিমার স্বামী সাইফুল আলম এবং আত্মীয়দের অত্যাচারে মেয়ে গায়ে আগুন দেয়। গত ১৭ মার্চ ফালাকাটায় থানায় সাইফুল এবং তার চার দাদার নামে অভিযোগ হয়। প্রথমে কোচবিহারে একটি নার্সিংহোমে এবং পরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ১মে হালিমা মারা যান। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কাউকে না জানিয়ে হালিমার মৃতদেহটি কবর দিয়েছে বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “প্রয়োজনে মৃতদেহটি কবর থেকে তোলা হবে। গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে ফালাকাটা থানার পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল তাও খতিয়ে দেখব।”
|
নকল করতে বাধা দেওয়ায় শিক্ষককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ার কলেজ চত্বরে। থানায় অভিযোগ জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত মহকুমা শাসক শিশির লেপচা জানান, পুলিশ ও একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অধ্যক্ষ সুব্রত পঞ্চানন জানান, এদিন কলেজের ২৪-এ পরীক্ষা হলে পার্ট-টুর পদার্থ বিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যার পরীক্ষা নিচ্ছিলেন শিক্ষক প্রসেনজিৎ ঠাকুর। পরীক্ষা চলাকালীন প্রসেনজিৎ বাবু বেশ কয়েক জন ছাত্রকে নকল করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। বাড়ি ফেরার সময় জনা কুড়ি ছাত্র ও বহিরাগত তাঁকে ঘিরে ধাক্কা ধাক্কি শুরু করে। বিষয়টি মহকুমাশাসক ও পুলিশ থানায় জানানো হলেও কারও নামে অভিযোগ করা হয়নি।
|
আলিপুরদুয়ারের ওষুধ ব্যবসায়ী অপহরণের চেষ্টার পেছনে কেএলও যুক্ত কি না তা পুলিশ ও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আলিপুরদুয়ার থানার বড়চৌকির এলাকায় অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। রাতে বাড়ির ফেরার সময় ওষুধ ব্যবসায়ী সমর দাসকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁর মোটর বাইকে চাপিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। |