|
|
|
|
এমপিএসের সঙ্গে বাম জমানার
হিমঘর-চুক্তি নিয়ে তদন্ত মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের কৃষি বিপণন পর্ষদ সরকারি হিমঘর পরিচালনার জন্য বাম আমলেই একটি অর্থ লগ্নি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছিল বলে অভিযোগ তুললেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। কেন ওই চুক্তি করা হয়েছিল, তার তদন্ত হবে বলে তিনি বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছেন।
সেই সময় পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায়। এমপিএস নামে একটি সংস্থার সঙ্গে ওই চুক্তির বিষয়টি তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে বলেছেন, বোর্ডের বৈঠক ডেকে বিধি মেনেই চুক্তি করা হয়েছিল। নতুন সরকার এ বিষয়ে তদন্ত করতে চাইলে করতে পারে বলে জানান তিনি।
কৃষি বিপণন মন্ত্রী অবশ্য ওই চুক্তিতে রহস্য খুঁজে পাচ্ছেন। মহাকরণে সাংবাদিক বৈঠক করে অরূপবাবু জানান, কৃষি বিপণন পর্ষদ ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এমপিএস সংস্থার সঙ্গে হিমঘর পরিচালনার জন্য ওই চুক্তি করেছিল। চুক্তিতে বলা হয়, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, মালদহ, হুগলি, বীরভুম ও বর্ধমানে মোট ১৩টি হিমঘর তৈরির পরে তা পরিচালনার ভার পাবে ওই সংস্থা। এর জন্য এমপিএস সংস্থার সঙ্গে ‘লিজ রেন্ট’ চুক্তি হয় বিপণন পর্ষদের। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, কৃষি বিপণন দফতরের তরফে হিমঘরগুলি তৈরি করা হবে। পরে তা পরিচালনা করবে এমপিএস সংস্থা। এর জন্য তারা সরকারকে প্রতি মাসে হিমঘর-পিছু ৩০ হাজার টাকা দেবে। কিন্তু এত দিন পরেও সরকার চুক্তিমাফিক টাকা পায়নি বলে অভিযোগ করেন অরূপবাবু। ১৩টির মধ্যে এ-পর্যন্ত মাত্র একটি হিমঘর তৈরি হয়েছে। সেটা হুগলিতে।
কৃষি বিপণন মন্ত্রী বলেন, “ওই চুক্তির পিছনে রহস্য রয়েছে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে পর্ষদের বৈঠক ডাকতে বলেছি।” অরূপবাবুর প্রশ্ন, হিমঘর তৈরিই হল না। অথচ চুক্তি হয়ে গেল কী ভাবে? এত তাড়াহুড়ো করে চুক্তি করা হল কেন? মন্ত্রীর মন্তব্য, “এর পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, সবই তদন্তে প্রকাশ পাবে।”
কৃষি বিপণন পর্ষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান নরেনবাবু অবশ্য অরূপবাবুর অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি এ দিন বলেন, “সব্জির ব্যবসা করে এমপিএস সংস্থা। খোলা দরপত্রের মাধ্যমেই তারা হিমঘর পরিচালনার ভার পেয়েছিল। চুক্তিতে এটাও পরিষ্কার ভাবে বলে দেওয়া হয়েছিল যে, ওই হিমঘর দেখিয়ে তারা ব্যাঙ্কঋণ নিতে বা বাজার থেকে কোনও টাকা তুলতে পারবে না।”
হিমঘর তৈরির আগেই তড়িঘড়ি ওই চুক্তি করা হয়েছিল কেন?
নরেনবাবু বলেন, “বোর্ড মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েই চুক্তি করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে তদন্ত হয় তো হোক না!” তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “যদি চুক্তিতে অন্যায় কিছু থেকে থাকে, তা হলে এত দিনে অরূপবাবুরা সেটা বাতিল করলেন না কেন?” |
|
|
|
|
|