|
|
|
|
মমতা-বিরোধিতায় সবুজ সঙ্কেত রাজনাথদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতা। তাই নরেন্দ্র মোদী হোন বা রাজনাথ সিংহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠলেই তাঁদের সুর নরম হয়ে যায়। কিন্তু এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন বাড়াতে সমস্যায় পড়ছে বিজেপি। এই সমস্যার কথা বোঝাতেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। নেতৃত্বকে তিনি বুঝিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পরিসর বাড়াতে কংগ্রেস-সিপিএমের পাশাপাশি মমতাকেও আক্রমণ করে এগোতে হবে। না হলে শাসক হিসেবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ জমা হচ্ছে, বিজেপি তার ফায়দা তুলতে ব্যর্থ হবে। সব শুনে রাজ্য নেতৃত্বকে অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে সবুজ সঙ্কেতই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মমতার মতো পুরনো শরিকের জন্য দরজা খোলা রাখতে চাইছেন।
সে জন্যই মোদী বা রাজনাথের মতো দলের শীর্ষ নেতারা কলকাতায় গিয়ে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছেন, সারদার মতো বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে সিবিআই ঠিকমতো তদন্ত করলে কিছু সিপিএম নেতার পাশাপাশি তৃণমূলের এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রীও বিপাকে পড়বেন। এই বিষয়টি প্রচারে এনে বিজেপি রাজ্যে শক্তি বাড়াতে পারে। কিন্তু তার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধেও তাদের আক্রমণাত্মক হতে হবে।
বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ মনে করেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের আশা অন্তত এ বার পূরণ হওয়ার নয়। সংখ্যালঘু ভোটের দিকে তাকিয়ে বিজেপির সঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম মমতার। তা ছাড়া মমতাকে সঙ্গে রাখার জন্য সিবিআই-অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে কংগ্রেস, মুলায়ম ও মায়াবতীর ক্ষেত্রে যেমনটা করে থাকে তারা। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের সারদা কাণ্ডের রেশ এখনও বেশ কয়েক মাস থাকবে। তার মধ্যে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় চলে এলে কংগ্রেসের পক্ষেও আর সিবিআই দিয়ে মমতাকে চাপ দেওয়া সম্ভব হবে না।
তবে রাজনাথ সিংহরা রাহুলদের জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির শক্তি বাড়ানোর জন্য মমতাকে আক্রমণ করতেই পারে রাজ্য বিজেপি। |
|
|
|
|
|