|
|
|
|
হলদিয়ায় অনাস্থা তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
মাস পাঁচেক আগে তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বামেদের পুর-বোর্ড বদলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এক ধাপ এগিয়ে বৃহস্পতিবার অনুন্নয়ন ও দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলরেরা।
কিন্তু হলদিয়া পুরসভার ২৬টি আসনের মধ্যে ১৫টিই যেখানে বামেদের দখলে, সেখানে কোন অঙ্কে ১১ জন সদস্য নিয়ে তৃণমূল অনাস্থা আনছে, জানা যায়নি। তৃণমূলের অন্দরের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় ‘হলদিয়া ভবনে’ সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক হয় তৃণমূল কাউন্সিলরদের। দল সূত্রের দাবি, চারটি ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলরদের পাশে পাওয়ার আশায় রয়েছে তৃণমূল। তা ছাড়া, পুরনো একটি গণ্ডগোলে অভিযুক্ত দুই বাম কাউন্সিলর পলাতক। তাঁরা ভোটাভুটিতে সামিল হতে না পারলে চাপের মুখে পড়তে হবে বামেদের। |
|
অনাস্থাপত্র হাতে হলদিয়ায় তৃণমূলের কাউন্সিলররা |
সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ‘পালাবদলে’র অঙ্কটা খোলসা করতে চাননি। তিনি বলেন, “ছোট ঘটনা। পুরসভার বিরোধী দলনেতা যা বলার বলবেন।” বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের দেবপ্রসাদ মণ্ডলের মন্তব্য “এই পুর-বোর্ড উন্নয়ন করতে পারেনি। সেই দিকগুলি সাধারণ মানুষ ও বাম কাউন্সিলরদের কাছে আমরা তুলে ধরব।” শুধু তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন নস্করের দাবি, “অনুন্নয়নের প্রশ্নে ইতিমধ্যেই বামেদের কিছু কাউন্সিলর আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।”
পুর-বিধি মেনে ১৫ দিনের মধ্যে অনাস্থা বৈঠক ডাকার আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী কাউন্সিলরেরা। নিয়ম অনুযায়ী, অনাস্থা বৈঠক ডাকার কথা পুর-কর্তৃপক্ষের। পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ ও উপ-পুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিক এ দিন পুরভবনে ছিলেন না। চিঠি হাতে না পাওয়ায় বৈঠকের দিনক্ষণ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি তাঁরা। তমালিকাদেবীর প্রতিক্রিয়া, “অনাস্থার চিঠি এখনও দেখিনি। তবে আমার মনে হয়, রাজ্যে যে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা থেকে নজর সরাতেই এই অনাস্থা প্রস্তাব। আমার বিশ্বাস, দলের কাউন্সিলরেরা আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন।” |
|
|
|
|
|