|
|
|
|
ঝড়, শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
কালবৈশাখীর ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের কুড়িটি গ্রামে ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে প্রায় দু’ঘন্টা ধরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়। মূলত গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের শাসড়া, সাতমা ও সারিয়া এই তিনটি পঞ্চায়েতের কুড়িটি গ্রামে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকশো বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে শাসড়া পঞ্চায়েত এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েকশো গাছ ভেঙে পড়েছে। একাধিক বিদ্যুতের খুটিও ভেঙে পড়েছে। ফলে ওই এলাকায় বিদ্যুত্ পরিষেবাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ওই তিনটি পঞ্চায়েত অফিসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন ভিড় করেন।
গোপীবল্লভপুর ১ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবারের দুর্যোগে ঘোড়াদুয়ার, মহুলবনি, শাসড়া, টিকায়েতপুর, ঘোড়াপিঞ্চা, বেতকলা, দামগ্রাম, তালপাদার মতো ২০টি গ্রামের ৯৪২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩০৭টি মাটির বাড়ি ধূলিসাত্ হয়েছে। আরও ৬৩৫টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝাড়গ্রামের সহ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) দীনেশকুমার পাল বলেন, “প্রাথমিক ভাবে একশো একর জমির বোরোধান ও পঁচাত্তর একর জমির সব্জি চাষের ক্ষতি হওয়ার খবর পেয়েছি। এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।” স্থানীয়দের অবশ্য দাবি, ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বক্তব্য, আর কয়েকদিন পরেই ধানকাটার কাজ শুরু হতো। তার আগেই কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে সিংহভাগ চাষ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অনেকেই ঋণ নিয়ে ধান ও সব্জি চাষ করেছিলেন। ক্ষতিপূরণ না পেলে তাঁদের পথে বসতে হবে। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের বিডিও অনন্য জানা বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।” স্থানীয় শাসড়া পঞ্চায়েতের প্রধান হারাধন হাঁসদা বলেন, “আমার এলাকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা ব্লক-প্রশাসনকে জমা দিয়েছি।” |
|
|
|
|
|