সাংবাদিকদের মারধরে ধৃতেরা জেলহাজতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত লগ্নিসংস্থার ছয় কর্মীর জামিন নাকচ করে দিল আদালত। বুধবার অভিযুক্তদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় একটি লগ্নিকারী সংস্থায় সাংবাদিকেরা খবর সংগ্রহ করতে যান। সেখানকার কর্মীরা বেড়ধক মারধর করেন তাঁদের। চিত্র সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়।
এ দিকে, পোলবায় সারদা গোষ্ঠীর মোটরবাইক তৈরির কারখানা গ্লোবাল অটোমোবাইলসে রিলে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। |
|
শ্রমিক বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র। |
বুধবার, মে দিবসে কাজের দাবিতে কারখানার গেটে শ্রমিকেরা সুদীপ্ত সেনের কুশপুতুল দাহ করেন। এর আগেই তাঁরা বকেয়া বেতন এবং কারখানায় উৎপাদন চালুর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। শ্রমিকদের দাবি, প্রকৃতই ব্যবসা করতে চান এমন কোনও শিল্পপতিকে দিয়ে দ্রুত কারখানা চালু করতে হবে। বুধবার শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম কারখানার সামনে যায়। অনশনরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তারা।
অন্য দিকে, বুধবার সকালে আরামবাগের বাসুদেবপুর মোড়ে তালা ভেঙে একটি লগ্নিসংস্থার অফিসে ঢুকে কম্পিউটার এবং কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সংস্থার মালিক এবং এক কর্মীকে। স্থানীয় মুথাডাঙ্গা গ্রামের আনামত আলি নামে এক লগ্নিকারীর দায়ের করা প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে ‘সোনালি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামে ওই সংস্থায় হানা দেয় পুলিশ। ধরা পড়ে শ্যামসুন্দর দাস কর্মকার নামে সংস্থার মালিক এবং সংস্থার কর্মী রহুল আলি। শ্যামসুন্দরের বাড়ি গোঘাটের বালি দেওয়ানগজ্ঞ গ্রামে। রহুলও গোঘাটের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে দু’জনকেই ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এ দিন আরামবাগের ‘ভারত কৃষি সমৃদ্ধি’ নামে একটি লগ্নিসংস্থার এক অধিকর্তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ব্যাঙ্কের প্রচুর পাসবই, এটিএম কার্ড, জমি-সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং ল্যাপটপ উদ্ধার করে পুলিশ। উৎপল পাল নামে ওই অধিকর্তা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
|