|
পোলার্ডের ক্যাচটা
কোনও দুর্ঘটনা নয়
অনিল কুম্বলে |
|
আইপিএলে গত কয়েকটা ম্যাচের ভাগ্য সরু দড়ির উপরে দাঁড়িয়েছিল। ফলে প্লে অফের দৌড় ক্রমেই গরম হচ্ছে। দু’-একটা টিম চারটে প্লে অফ পজিশনে ঢোকার ব্যাপারে ভাল জায়গায় থাকলেও অনেক দলেরই মরিয়া অবস্থা। প্রতিটা ম্যাচের ফলের উপর প্লে অফের স্পষ্ট ছবিটা নির্ভর করছে বলে টুর্নামেন্ট একটা উত্তেজক অবস্থায় পৌঁছেছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শেষ চার-পাঁচটা দিন খুব ভাল কাটল। ওয়াংখেড়েতে দুটো বিপরীতধর্মী জয় পেলাম। আমি বেশি খুশি বেঙ্গালুরুকে যে ভাবে ডাক্তারের অস্ত্রোপচার করার মতো নিঁখুত ভাবে হারালাম। আবার দারুণ তৃপ্ত লাগছে কিংসের বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থায় আমাদের বোলাররা মানসিক কাঠিন্য দেখানোয়। শেষের দিকে লড়াইটা দাঁড়িয়েছিল, কারা নিজেদের স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রেখে তাদের গেমপ্ল্যানটা মাঠে কার্যকর করবে!
অনেকেই ভাবে রাতের ম্যাচে শিশির ফ্যাক্টরটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়। তবে বিশ্বাস করুন, এটা সত্যিই ম্যাচে বিরাট প্রভাব ফেলে। ভেজা-ভেজা বল গ্রিপ করা সমস্যা হয় বোলারদের। বিশেষত স্পিনারদের। সোমবারের রাতের মতো বল ব্যাটে তুলনায় তাড়াতাড়ি আসে। ফলে স্লোয়ার ডেলিভারিও সুন্দর ভাবে ব্যাটে পাওয়া যায় আর বিগ হিট নেওয়া যায়। সমস্যাগুলো সামলাতে বোলারদের কাছে স্কিলের পাশাপাশি মানসিক কাঠিন্য দেখানোরও ডাক পড়ে। আমি দারুণ খুশি আমাদের বোলাররা সেই ডাকে সাড়া দেওয়ায়। তবে বোলারদের সুবিধে হয়, যদি ওই সময় বাউন্ডারি লাইনে বাস্কেটবলারের মতো এক জন ফিল্ডার থাকে।
এ বারের আইপিএলে কয়েকটা অসাধারণ ক্যাচ দেখা গিয়েছে। তবে মনে করি, আমাদের কায়রন পোলার্ড গত রাতে শন মার্শের যে ক্যাচটা ধরেছে সেটা একটা অন্য কিছু। যে ভাবে ও শূন্যে উড়ে গিয়ে ডান হাতে ক্যাচটা নিয়ে নিঁখুত ভারসাম্য রেখে শরীরটা মাটিতে ফেলল, সেটা দেখা এক কথায় ‘মাইন্ডব্লোয়িং’! দুর্ধর্ষ। টুর্নামেন্টে আগাগোড়াই ফিল্ডিংয়ের মান সর্বোচ্চ মানের হচ্ছে। সিনিয়ররা পর্যন্ত যাতে মানানসই অংশ নিচ্ছে। এবং অবিশ্বাস্য ক্যাচগুলো কোনও দুর্ঘটনা নয়। প্লেয়াররা আউটফিল্ড ক্যাচিং প্র্যাকটিসে অনেক ঘণ্টা ব্যয় করছে। হয়তো দ্রুত সেই দিন আসছে যখন মাঠের ভেতর থাকা কোনও উঁচু শটকেই আর নিরাপদ ভাবা হবে না। |