টুকরো খবর
আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে ফের সরব তৃণমূল
স্পিকারের সর্বদল বৈঠকে আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, প্রতিবেশী রাজ্যের (বিহার) জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দাবি করলেও প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের উপর সুদ মকুব করার ব্যাপারে নীরব কেন্দ্র। বৈঠকের পর সুদীপবাবু বলেন, “যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই সংসদে নীরব থাকছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের রাজ্যের আর্থিক বেহাল অবস্থা সম্পর্কেও তিনি কোনও পদক্ষেপ করছেন না।” রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আর্থিক বঞ্চনার প্রতিবাদে বার বার পথে নেমেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল। এর আগে সংসদেও বার বার এ নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় বা মুকুল রায়দের। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে বিহারের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্য বরাদ্দের ঘটনা তৃণমূল নেতৃত্বের ক্ষোভে বাড়িয়েছে। খোদ মমতা ফেসবুকে প্রশ্ন তোলেন, সমর্থনের জন্য কেন্দ্রের যাকে প্রয়োজন তাকে সাহায্য করা কি অগণতান্ত্রিক বা অনৈতিক নয়? আজ সেই সূত্র ধরেই সর্বদলীয় বৈঠকে সোচ্চার হয়েছেন সুদীপবাবু। তাঁর কথায়, “কেন্দ্র বিহারকে সাহায্য করতেই পারে। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু একটি রাজ্যকে সাহায্য করা হবে অথচ প্রতিবেশী রাজ্য সাহায্য পাবে না এই একচোখামি সমর্থন করা যায় না। তাই দল প্রতিবাদের রাস্তা বেছে নিয়েছে।”

খাতা দেখতে বাড়ি ভাড়া
পরীক্ষার খাতা দেখার কাজ কোথায় হবে, তা ঠিক করতে গিয়ে মাথায় হাত পড়েছে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। খাতা দেখতে দু’মাসের জন্য একটা জায়গা ভাড়া করার চেষ্টা করছেন কর্তৃপক্ষ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা দেখার কাজ হয় ‘স্পট ইভ্যালুয়েশন’ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ একটা জায়গায় বসে পরীক্ষকেরা খাতা দেখেন। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে সেই কাজ হত। কিন্তু এ বার আর সেই বন্দোবস্ত করা যাচ্ছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২২ মে। উপাচার্য সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৪০ দিনের মধ্যে এক লক্ষ ২৫ হাজার পরীক্ষার্থীর আট লক্ষেরও বেশি খাতা দেখার কাজ শেষ করতে হবে। দৈনিক কাজ করতে হবে প্রায় ১২০০ পরীক্ষককে। তাঁর কথায়, “১০০০ বর্গফুটের ভাড়া মাসে ৫০ হাজার টাকা। আমাদের ১৫ হাজার বর্গফুট দরকার। দেখা যাক, কী হয়!” দ্রুত এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যাবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।

পরিবহণ নিগমে বকেয়া গ্র্যাচুইটি
রাজ্যের সব পরিবহণ নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের বকেয়া গ্র্যাচুইটি মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তিন বছর ধরে গ্র্যাচুইটি বাকি। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা সোমবার বলেন, “প্রথম ধাপে সিটিসি এবং সিএসটিসি থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত অবসর নেওয়া কর্মীদের বকেয়া গ্র্যাচুইটি মেটানো হবে। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বকেয়া ১০% মহার্ঘ ভাতাও পেয়ে যাবেন কর্মীরা। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা ‘লিভ-স্যালারি’র টাকাও পেয়ে যাবেন। বকেয়া গ্র্যাচুইটি এবং লিভ-স্যালারি মেটাতে লাগবে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র জানান, নিগমে সময়ে বেতন দেওয়ারও চেষ্টা চলছে। ৫ মে-র মধ্যে এপ্রিলের বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.