শহরে ঢোকার মুখেই কোনও সাজানো পার্ক বা গেট নয়, বরং রাস্তা জুড়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। দিনে দিনে বাড়তে বাড়তে রীতিমতো স্তূপের আকার নিয়েছে তা। আর তাতেই টেকা দায় হয়ে পড়েছে আসানসোলের ছাতাপাথর এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, এলাকা সংলগ্ন দু’নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার সমস্ত আবর্জনা জমা করা হয়। বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুরসভা। অবিলম্বে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। না হলে আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন। আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
আসানসোল শহরে ঢোকার মুখেই পড়ে এই ছাতাপাথর এলাকাটি। ফলে বাইরে থেকে শহরে ঢুকতে গেলে প্রথমেই চোখ যায় আবর্জনার স্তুপের দিকে। আর যাঁরা ওই এলাকায় বাস করেন তাঁদের পরিস্থিতি তো আরও খারাপ। দুর্গন্ধ, দূষণ, পোকামাকড় এসব নিয়েই তাঁদের রোজকার বাস। স্থানীয় বাসিন্দা রামচরণ কুইরি বলেন, “দুর্গন্ধে ঘরে টিকতে পারি না আমরা। জোরে হাওয়া দিলে বাড়িতেও আবর্জনা উড়ে ঢুকে যায়।” বাসিন্দারা আরও জানান, মাঝে মাঝে আবর্জনার স্তুপে কেউ বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুনে জমে থাকা পলিথিনও পুড়তে থাকে। সেই দুর্গন্ধ আর ধোঁয়ায় শ্বাস নেওয়ায় কষ্টকর হয়ে পড়ে। যত দিন যাচ্ছে ততই দূষনের মাত্রা বাড়ছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষের কাছেও বারবার আবেদন করেছেন তাঁরা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আসানসোল শাখার এক আধিকারিক জানান, আসানসোল শহরের যাবতীয় বর্জ্য রানিগঞ্জের মঙ্গলপুরের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজম্যান্টে ফেলতে বলা হয়েছে। এতে দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এই পরামর্শ মানা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন বলে দাবি আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটকের। সম্প্রতি পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ঠিকও হয়েছে, পুরসভা এলাকা থেকে সংগৃহীত আবর্জনা এবার থেকে মঙ্গলপুরের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজম্যান্টে পাঠানো হবে। খুব দ্রুত এই কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। |