দু’তরফে সম্পর্কের জটিলতা কাটতে শুরু করায় কলকাতায় মহাকরণে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পাঁচ শীর্ষ নেতা। আজ, সোমবার সকালে বিমানে ওই দলটি কলকাতা পৌঁছবে। মোর্চা সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর এটাই দলীয় নেতাদের প্রথম মহাকরণ সফর। এ দিনই রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র ও শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দলটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। দলটিতে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক তথা জিটিএর শিক্ষা বিভাগের প্রধান রোশন গিরি, কার্শিয়াঙের বিধায়ক রোহিত শর্মা, কালিম্পঙের বিধায়ক হরকা বাহাদুর ছেত্রী, কার্শিয়াং পুরসভার চেয়ারম্যান এলবি পারিয়ার এবং জিটিএ-র পরিবহণ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যোতিকুমার রাই আছেন।
রোশন গিরি বলেন, “চুক্তির পর দু’বছর পার হতে চললেও সব ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি। বন, পূর্ত, তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মত ক্ষেত্রে জিটিএকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রেখেছে সরকার। আমাদের পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। সেই সব নিয়ে আলোচনা হবে।” রোশন গিরি জানান, বনদফতরের শুধুমাত্র বন বাংলোগুলিকে জিটিএ- নিয়ন্ত্রণাধীন করা হয়েছে। বনের অধিকার এখনও রয়েছে রাজ্য সরকারের হাতেই। এই দাবিগুগুলি নিয়ে মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের সঙ্গে বৈঠক হবে।
মোর্চা সূত্রের খবর, এ দিকে পাহাড়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার ভার যাতে জিটিএর হাতেই দেওয়া হয় তার জন্য তদ্বির করবেন মোর্চার প্রতিনিধিরা। তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দু’সপ্তাহ আগে সিকিম সফরে এসে দার্জিলিঙে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে ঘোষণা করেছিলেন বলে মোর্চার দাবি। সেই বিশ্ববিদ্যালয় যাতে তাড়াতাড়ি করা যায় তাও ব্রাত্য বসুকে বলা হবে। |