বিয়ের দু’দিন আগে ধর্ষণ করে গলার শ্বাসনালি কেটে এক তরুণীকে খুন করে নদীর জলে দেহ ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল পাত্রের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ডুয়ার্সের শামুকতলা থানার পূর্ব চিকলিগুড়ি গ্রামে রায়ডাক নদীর চরে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম প্রসেনজিৎ মোহন্ত। তার বাড়ি উত্তর চিকলিগুড়ি গ্রামে। প্রসেনজিৎ পেশায় দিনমজুর। হতের নাম রূপালি দাস (১৮)। তিনি দিনমজুরি করতেন। সোমবার তাঁদের বিয়ের কথা ছিল। একই এলাকায় তাঁরও বাড়ি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, ধৃতের সঙ্গে রূপালি বাদেও প্রতিবেশী আরও একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। নয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চাইছিল প্রসেনজিৎ। তিন মাস ধরে রূপালিকে এড়িয়ে চলত। রূপালি দুই মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিপাকে পড়ে প্রসেনজিৎ। গর্ভবতীর বিষয়টি জানাজানি হতে রূপালি বিয়ের দাবি করে ধৃতকে চাপ দিতে থাকে। গ্রাম্য সালিশিসভায় তিনি বিয়েতে রাজি হলেও রূপালিকে বারবার গর্ভপাত করতে বলেন অভিযোগ। নিহত তরুণী রাজি না হওয়ায় গত এক মাস ধরে দুই জনের মধ্যে গোলমাল চরমে পৌঁছয়। প্রসেনজিৎ রূপালিকে বিয়ে করতে রাজি হন। জেরায় আর একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা ধৃত স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশের সন্দেহ, ধারালো কিছু দিয়ে গলার নালি কেটে রূপালিকে খুন করা হয়েছে। সারা শরীরে নখের আঁচড়ের দাগ রয়েছে। খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের সন্দেহ। তার পরে দেহ নদীতে ফেলা হয়। ঘটনার পর থেকে রূপালির মা মাওরানি দাস অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। হতের বাবা তেথিশ দাস ধৃতের নামে শামুকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিয়ের সব প্রস্তুতি শেষ। গতকাল ভাটিবাড়ি বাজার জিনিসপত্র কেনা হয়েছিল। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীদের নিয়ন্ত্রণ করা শেষ। হবু জামাইয়ের হাতে মেয়েকে এই ভাবে মরতে হবে ভাবতেই পারছি না। প্রসেনজিতের কড়া শাস্তি চাই। পুলিশ জেনেছে, শনিবার রাত ৭ নাগাদ আলেয়া বিবি নামে পাশের বাড়ির এক মহিলার মোবাইলে ফোন করে রূপালির সঙ্গে কথা বলে প্রসেনজিৎ। ফোনে কথা বলতে বলতে রূপালি আলেয়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাত অবধি বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু হয়। |