ফের লগ্নিকারীদের টাকা আত্মসাৎ করে পাততাড়ি গোটানোর অভিযোগ উঠল একটি ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে। ‘ভিশন অ্যাগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড’ নামের ওই সংস্থার কর্ণধার হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা তপন ধাড়ার বিরুদ্ধে রবিবার বাঁকুড়া সদর থানায় এক এজেন্ট প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তাঁর খোঁজ শুরু করেছে।
এজেন্টরা জানান, প্রায় এক বছর আগে বাঁকুড়া শহরের সিনেমারোডে কার্যালয় খুলে ওই অথর্লগ্নি সংস্থা কাজ শুরু করে। অভিযোগকারী এজেন্ট বাঁকুড়ার কদমাঘাটির বাসিন্দা বুদ্ধদেব শীলের দাবি, “ভাল কমিশনের শর্তে আমরা কয়েকশো এজেন্ট কাজ করতে শুরু করি। স্বল্প সময়ে টাকা দ্বিগুণ করার কথা বলে এক বছরেই বাঁকুড়া শাখা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা তুলে দিই তপন ধাড়াকে। কিন্তু ডিসেম্বর মাস থেকে এজেন্টদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ভাড়া বকেয়া থাকায় কার্যালয়ের ঘরও খালি করে দিতে হয়। তপনবাবু সমস্যা মিটে যাওয়ার আশ্বাস দিলেও টাকা পাঠাননি। এখন ফোন ধরছেন না। চন্দননগরে তাঁর বাড়িতে গিয়েও দেখা পাওয়া যায়নি।” এজেন্টরা জানান, বাঁকুড়া, শিলিগুড়ি, জয়নগর, গঙ্গাসগর-সহ আরও কিছু জায়গায় এই সংস্থার অফিস ছিল। তাঁরা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, ওই সব জায়গাতেও কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
বাঁকুড়ার স্কুলডাঙার বাসিন্দা অজিতেশ ঘোষাল নামের এক এজেন্ট বলেন, “আমি নিজেই ৫ লক্ষ টাকা লগ্নি করেছিলাম। টাকা না পেলে আত্মহত্যা করতে হবে।” তাঁদের দেওয়া সংস্থাটির একাধিক কর্তার মধ্যে শুধু গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা পদ্মলোচন জানা ফোন ধরেছেন। তাঁর দাবি, “তপনবাবু আগে অন্য একটি ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থা খুলেছিল। তাতে টাকা রেখে বিপদে পড়ি। ওই টাকা ফেরত দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তিনি ফের এই সংস্থায় আমাকে কাজ করতে বলেন। আমাকে ডিরেক্টর করে দেবেন বলেছিলেন। আমি রাজি হইনি। টাকা ফেরত চেয়েছিলাম। তা না দিয়ে উল্টে অফিস বন্ধ করে দেন। আমিও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।” চেষ্টা করেও তপনবাবুর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। |