গভীর সুড়ঙ্গের হদিস মিলল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার খাড়ুবালা গ্রামে। দিন কয়েক আগে স্থানীয় কয়েক জন ছেলেমেয়ে একটি মিশনের বাগানে আম কুড়োতে যায়। সেই সময়ে মাটি ধসে একটি শিশুর পা ঢুকে যায় ওই সুড়ঙ্গে।
হাড়োয়া ও সংলগ্ন বেড়াচাঁপার বিভিন্ন এলাকায় মাটির নীচ থেকে পুরনো আমলে বহু জিনিস পাওয়া গিয়েছে নানা সময়ে। যার একটা অংশ সংগৃহীত আছে হাড়োয়ায় বালান্দা প্রত্নশালায়।
|
এই সুড়ঙ্গ ঘিরেই দেখা দিয়েছে রহস্য।—নিজস্ব চিত্র। |
সংগ্রহশালার সম্পাদক আজিজুর রহমান বলেন, “ব্রিটিশ আমলে জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য মাটির মধ্যে পোঁতা লোহার সঙ্গে বিশেষ ধরনের চুম্বক লাগানো থাকত। মানুষ অনেক সময়ে মাটি খুঁড়ে দামি ওই চুম্বক পাওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক সময় মাটি খোঁড়াখুড়ি করে। দেগঙ্গা ও হাড়োয়ার মাঝে অবস্থিত চন্দ্রকেতুগড়ে বৌদ্ধ যুগের নানা নিদর্শন মিলেছে। যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক প্রত্নসামগ্রী মাটি খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছে। এই সব প্রত্ন সামগ্রী পাওয়ার জন্যও কেউ সুড়ঙ্গ তৈরি করে থাকতে পারে।”
জমির মালিক রাসেদ আহমেদের দাবি, এলাকার শিশুরাই মাস তিনেক ধরে মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করেছে। যদিও রাসেদের কথা মানতে চাননি গ্রামের মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন, আনসার মোল্লারা জানান, অনেকেই নেমেছিলেন সুড়ঙ্গে। কিন্তু ছ’সাত ফুট ঢুকে আর যেতে সাহস পাননি কেউ। ভিতরে কী আছে, তা জানতে মাটি খোঁড়া জরুরি বলে তাঁদের অভিমত। |