টুকরো খবর
পিক-আপ ভ্যান উল্টে মৃত তিন
পিক-আপ ভ্যান উল্টে মৃত্যু হল তিন জনের। রবিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোনা থানার শ্রীনগরে। ঘটনায় আহত হয়েছেন সাত শিশু-সহ ২৫ জন। এর মধ্যে আট জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চারজনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম বর্ণালী লোহার (১২), ঝুমা লোহার (১০) ও মৌসুমী লোহার (৩০)। তাঁরা গড়বেতা থানার কালিন্দীপুরের বাসিন্দা। এ দিন দুপুরে গড়বেতা থানার ভগবন্তপুর থেকে ২৮ জন যাত্রী নিয়ে পিক-আপ ভ্যানটি চন্দ্রকোনা থানার কালাকড়ি গ্রামে একটি বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিল। শ্রীনগরের কাছে একটি লরিকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে পিকআপ ভ্যানটি। এরপরই একাধিক গাছে ধাক্কা মেরে ভ্যানটি উল্টে যায়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ক্ষীরপাই ব্লক হাসপাতাল এবং ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার পর সমস্ত গ্রাম থেকে বাসিন্দারা ভিড় করেন ঘাটাল হাসপাতালে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘাটাল থানার পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর চালকের হদিস পাওয়া যায়নি। তার সন্ধানে খোঁজ চলছে। অন্য দিকে, শনিবার ঘাটাল থানার বরদা-চৌকানে লরির ধাক্কায় মৃত্য হয়েছে এক সাইকেলআরোহীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম এন্তাজ আলি খান (২৩)। তাঁর বাড়ি ঘাটাল থানার মান্দারিয়া গ্রামে। পুলিশ লরিটির সন্ধান এখনও পায়নি।

দু’টি দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু
দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হল শিল্পশহরে। জখম হয়েছেন দু’জন। রবিবার সকালে একটি দুর্ঘটনা ঘটে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের মোরামে। ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক মোটর বাইক আরোহীর। হলদিয়া পেট্রোকেমের শ্রমিক মৃত শেখ নজরুলের (৪৫) বাড়ি দুর্গাচকের নিউ কলোনিতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ নজরুল ছাড়াও ওই মোটর বাইকে শেখ আজিজুল এবং নিখিলেশ রাই নামে দু’জন ছিলেন। ব্রজলালচক থেকে তাঁরা হলদিয়ার দিকে আসছিলেন। একটি পণ্য বোঝাই ডাম্পার ‘লেন’ পেরিয়ে আসার সময়ে মোটর বাইকে ধাক্কা মারলে ওই তিন জন ছিটকে পড়েন। জখম অবস্থায় তাঁদের হলদিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর থাকায় নজরুল ও আজিজুলকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হচ্ছিল। পথেই মৃত্যু হয় নজরুলের। ওই জাতীয় সড়কেই অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে রানিচকে বন্দর স্টেশনের কাছে। ট্রেলারের ধাক্কায় মারা যান বন্দরের ঠিকা শ্রমিক চিত্ত পাল (৫০)। তাঁর বাড়ি ক্ষুদিরামনগরে। তিনি একটি পণ্য খালাসকারী সংস্থায় কাজ করতেন। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্য ছিলেন। বন্দরের কাজ সেরে চিরঞ্জীবপুরে তৃণমূলের শ্রমিক ভবন থেকে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রেলারটি পিষে দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ
জেলা পরিষদের সিপিএম সদস্য অনাদিনন্দন রথ ও প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক সতীশচন্দ্র রথকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে পটাশপুর থানা এলাকার নৈপুর লক্ষ্মীবাজারে। অভিযোগ, অনাদিনন্দনবাবু তৃণমূল নেতাদের হাতে প্রহৃত হওয়ার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসে চেপে কোনওরকমে বাড়ি পৌছন। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলের তরফে চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে পালাবদলের পর প্রায় এক বছর অনাদিনন্দবাবু এলাকা ছাড়া ছিলেন। শিক্ষক হয়েও স্কুলে আসতে পারতেন না। এক সময়ের দাপুটে ওই সিপিএম নেতা নৈপুর শান্তিসুধা ইনস্টিটিউশনের পরিচালন সমিতির দখল নিতে দলের সহায়ক ছিলেন। দিন কয়েক আগেই ওই স্কুলে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। তারপরেই তাঁকে স্কুলেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। অনাদিবাবু বলেন, “এ দিন আমি লক্ষ্মীবাজারে বাজার করার জন্য যাই। সেখানে কথা বলছিলাম মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক সতীশচন্দ্র রথের সঙ্গে। আমচকা দুই তৃণমূল নেতা হরিপদ দাস মহাপাত্র ও কালিপদ রায় আমাদের মারধর, গালিগালাজ ও হেনস্থা করে।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস বলেন, “মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা এলাকায় প্ররোচনা ছাড়াচ্ছিলেন। তৃণমূল ও দলনেত্রীর নামে কুৎসা করছিলেন। তাতে স্থানীয়েরা আপত্তি করেন। স্কুলের হার মানতে না পেরেই এই কুৎসা।”

নাটকে প্রথম কুকড়াহাটি
কচিকাঁচাদের নিয়ে একাঙ্ক নাটকের প্রতিযোগিতার আয়োজন করল সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘কোরক’। রবিবার হলদিয়া টাউনশিপের আইওসি প্রেক্ষাগৃহে ‘শিশু কিশোর একাঙ্ক নাট্য প্রতিযোগিতা’য় প্রথম হয় কুকড়াহাটি হাইস্কুল, দ্বিতীয় ভারতীয় বিদ্যাভবন, তৃতীয় লাবণ্যপ্রভা বালিকা বিদ্যালয়। মহকুমার মোট ৭টি বিদ্যালয়ের পড়ুয়া (বাকিগুলি হল হলদিয়ার পুনর্বাসন হাইস্কুল, হলদিয়া হাইস্কুল, মহিষাদলের লখ্যা বালিকা বিদ্যালয়, অ্যাপেক্স অ্যাকাডেমি) ও কোরকের দু’টি দল যোগ দিয়েছিল প্রতিযোগিতায়। ‘পথিকের পথ’, ‘খ্যাতির বিড়ম্বনা’, ‘বিশ্বাস-অবিশ্বাস’, ‘চোর’, ‘ইঁদুর দৌড়’একের পর এক ৯টি নাটক পরিবেশিত হয়। ‘কোরকে’র সম্পাদক দীপেন্দ্রনাথ দে বলেন, “আমরা বড়রা নাটক করেই থাকি। তবে ছোটরাও এখন ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা কাঁপাচ্ছে। তাই এলাকার শিশু-কিশোরদের নাটকে উৎসাহ বাড়াতে এই প্রয়াস।”

চণ্ডীপুরে পথ দুর্ঘটনায় আহত ১২
বাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি ধাক্কায় ৬ জন মহিলা ও ৩ শিশু-সহ আহত হলেন ১২ জন বাসযাত্রী। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার নরঘাটের কাছে দিঘা-মেচেদা সড়কে। আহতদের তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে যাত্রীবোঝাই বাসটি দিঘা থেকে কুকড়াহাটির দিকে আসছিল। নরঘাটের কাছে একটি বাঁকে উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। আহত বাসযাত্রীদের উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, লরির চালক পলাতক।

নাটক নিয়ে তথ্যচিত্র হলদিয়ায়
নাটক নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করল সাংস্কৃতিক মহিলা সংগঠন ‘ঋদ্ধি’। শনিবার হলদিয়ার সুতাহাটায় সুবর্ণজয়ন্তী প্রেক্ষাগৃহে ‘বিহাইন্ড দ্য কার্টেন জার্নি উইথ বিভাস চক্রবর্তী’ শীর্ষক তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী সত্যগোপাল ভট্টাচার্য, পরিচালক শান্তনু সাহা প্রমুখ। প্রায় ২ ঘণ্টা ৭ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি দেশ-বিদেশে আগে প্রদর্শিত হয়েছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে দর্শক হিসেবে ছিলেন জেলার স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। ঋদ্ধির সম্পাদিকা সেঁজুতি জানা বলেন, “জেলার মানুষ খুব একটা তথ্যচিত্র দেখার সুযোগ পান না। তাছাড়া নাটক নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে আগ্রহ জাগিয়ে তোলাটা ছিল উদ্দেশ্য।”

দুষ্কৃতীরা অধরাই
দিনে-দুপুরে পরিবহণ সংস্থার ম্যানেজারকে গুলি করে কয়েক লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের পর কেটে গিয়েছে পাঁচ দিন। তারপরও ধরা পড়ল না কেউ। গত বুধবার বিকেলে দুর্গাচক থানার এইচপিএল লিঙ্ক রোডে একটি পরিবহণ সংস্থার অফিসের সামনে ঘটনাটি ঘটেছিল। হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা কিছু সূত্র পেয়েছি। এলাকার বাইরের দুষ্কৃতীরাও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। আশা করছি দুষ্কৃতীরা খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে।”

বসে আঁকো
পুলিশের উদ্যোগে শিশুদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হল তমলুকে। তমলুক থানার উদ্যোগে ও তাম্রলিপ্ত জনস্বাস্থ্য, কৃষি ও কুটিরশিল্প মেলা কমিটির সহযোগিতায় রবিবার বিকেলে তমলুক রাজময়দান সংলগ্ন ধীরেন্দ্র রয়্যাল কেজি স্কুল প্রাঙ্গণে এই প্রতিযোগিতায় প্রায় ১০০ শিশু যোগ দেয়। যোগদানকারী প্রত্যেককেই পুরস্কৃত করা হয়।

তাম্রলিপ্ত কাপ
তাম্রলিপ্ত কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল তমলুকের প্যারিস স্পোর্টিং ক্লাব। তমলুক শহরের খেলাঘর ক্লাবের উদ্যোগে রাখাল মেমোরিয়াল ফুটবল ময়দানে খেলা হচ্ছিল। রবিবার ফাইনাল খেলায় প্যারিস স্পোর্টিং ক্লাব ১-০ গোলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ একাদশকে হারিয়ে দেয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.