বিএড-জট, পরীক্ষায় বসার নির্দেশ আদালতের
নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চন্দ্রকোনা বিএড কলেজে দুই ছাত্রকে ভর্তি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রশনও দিয়েছিল। পরে তা নিয়ে হইচই হতেই রেজিস্ট্রেশন বাতিলের নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্টের বিচারপতি প্রসেনজিৎ মণ্ডল অবশ্য সুদীপ দাস ও সুমন্ত জানা নামে ওই দুই ছাত্রকে পরীক্ষায় বসার জন্য অর্ন্তবর্তী আদেশ দিয়েছেন। ছাত্রদের আইনজীবী জয়ী মাইতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়েছেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এখনও তাঁরা আদালতের নির্দেশ হাতে পাননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “আদালত যা নির্দেশ দেবে তাই মান্যতা দেব। তবে নির্দেশটি এখনও পাইনি।”
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে বিএডের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে মার্চ মাস থেকেই। জুন থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। চন্দ্রকোনা কলেজে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু ওই দুই ছাত্রের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। পরীক্ষক তপন মণ্ডল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় যে সব ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নিতে বলেছিল, আমি তাঁদেরই পরীক্ষা নিয়েছি। শুনেছি, ওই ছাত্ররা আদালতে গিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের নির্দেশ দেখে ওই দুই ছাত্রের পরীক্ষা নিতে বললে নেব।”
ওই দুই ছাত্রের ভর্তির ক্ষেত্রে কোনরকম অনিয়ম হয়েছে বলে অবশ্য মানতে চাননি চন্দ্রকোনা বিএড কলেজের ডিরেক্টর প্রদীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, “আমরা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কিছু করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়কে শূন্য আসনের কথা জানিয়ে ছাত্র ভর্তির আবেদন করেছিলাম। তাঁরা ছাত্র দিতে না পারায় আমরা ছাত্র ভর্তি করতে পারি কিনা জানতে চেয়েছিলাম। চিঠির উত্তর না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকা থেকেই পরে দুই ছাত্রকে
ভর্তি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশনও দিয়েছিল। যদি নিয়ম বহির্ভূত করতাম তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন দিল কেন?” এমনকী পরবর্তীকালে তো রেজিস্ট্রেশন বাতিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল?
প্রদীপবাবুর ব্যাখ্যা, “একজন ছাত্রকে নিয়ে আমাদের মতো বেসরকারি কলেজ ছিনিমিনি খেলতে পারে না। প্রথমে রেজিস্ট্রেশন দিয়ে পরে বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় দুই ছাত্রের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চায় বলে বলে আমাদের মনে হয়েছে। তাই ছাত্ররা আদালতে গিয়েছিল। আদালতও ছাত্রদের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।”
আদালতের নির্দেশ অবশ্য অর্ন্তবর্তীকালীন। তাতে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছে ওই দুই ছাত্রকে। চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে সব পক্ষই।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.