|
|
|
|
অভিযান অসমে |
গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে মানবাধিকার কমিশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
জঙ্গি দমন অভিযানের নামে নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু নিয়ে নিজের থেকেই মামলা দায়ের করল অসম মানবাধিকার কমিশন। একই সঙ্গে শিবসাগর হাসপাতালে শিশু ও প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও কমিশনের তরফে স্বাস্থ্য সচিবকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই, করদুইগুড়ির ঘটনার জেরে তিনসুকিয়া জেলা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। গ্রামবাসীরা দফায় দফায় জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ভেঙে ফেলা হয়েছে দফতরের মূল ফটক। ডাকা হয়েছে বন্ধ। ঘটনার সূত্রপাত ১৯ এপ্রিল।
ডুমডুমার কাছে বাঘজান করদুইগুড়ি গ্রামে পরেশপন্থী আলফার ঘাঁটির খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে এক পুলিশ অফিসার,দুই জঙ্গির সঙ্গে মারা যায় এক গ্রামবাসীও। নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যুর জের টেনেই উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। পথ অবরোধ হয়, বেশ কিছু গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুল্যান্সে আগুনও লাগানো হয়। ঘটনার পরে, নিহতের পরিবারের জন্য ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মরাণ ছাত্র সংগঠনের আন্দোলন চলছে। নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যুর প্রতিবাদে প্রথমে ডিব্রুগড় বন্ধ ও পরে অসম বন্ধও ডাকা হয়েছিল। আজ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন এ এইচ শইকিয়া ও সদস্য তরুণ ফুকন জানান, গত কালই ঘটনাটি নিয়ে অসম পুলিশের ডিজিকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে এডিজি পদমর্য্যাদার কোনও অফিসারকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করিয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
একই সঙ্গে মানবাধিকার কমিশন শিবসাগর হাসপাতালে দুটি নবজাতক ও এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে নোটিশ পাঠিয়েছে। ২০ এপ্রিল সকালে ঘণ্টা খানেকের ব্যবধানে ওই তিনটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর হাসপাতালে ভাঙচুর হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞের অবর্তমানে অস্ত্রোপচারের কারণে ও কর্তব্যরত নার্সদের অবহেলাতেই মৃত্যুর ঘটনাগুলি ঘটেছে। জেলাশাসক ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। তিন নার্সকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|