|
|
|
|
টুকরো খবর |
সারদা-কাণ্ডের ছায়া এ বার মেঘালয়েও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
শুধুমাত্র অসম নয় মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে শাখা ছড়িয়ে বহু কোটি টাকা সারদা গোষ্ঠী আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ। পূর্ব ও পশ্চিম গারো হিল পুলিশের কাছে গত কয়েক দিন ধরে সারদার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জমা পড়েছে সেই অনুযায়ী, সারদার এজেন্টরা এই জেলায় অন্তত সাড়ে ২১ কোটি টাকা তুলেছিলেন। জেলাশাসকের দফতরে দফায় দফায় আমানতকারীদের প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি জমা দিয়ে প্রতিকার দাবি করেছে। গারো হিলের প্রতারিত আমানতকারীদের মঞ্চ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের কাছেও স্মারকলিপি দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ৮৫ জনের নাম সম্বলিত যে স্মারকলিপি জমা পড়েছে, সেই অনুযায়ী গত তিন বছর ধরে ফুলবাড়ি ও উইলিয়ামনগর শাখার পাশাপাশি চিবিনাং, টিকরিকিলা, হাটশিঙিমারি, মানকাচর, তুরা, মহেন্দ্রগঞ্জ শহরে এজেন্টরা ছোটো দফতর তৈরি করে টাকা তুলেছেন। প্রথম দিকে অনেকে প্রতিশ্রুতিমতো টাকাও পান। ফলে লগ্নি বাড়তে থাকে। এর মধ্যে ফুলবাড়ি শাখাতেই অন্তত ৯ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। এপ্রিল মাসের প্রথমে হঠাৎ করেই উইলিয়ামনগরের দফতর বন্ধ হয়ে যায়। এর পর সারদা রিয়ালিটি ইন্ডিয়ার উইলিয়ামনগর শাখার কর্মীরা সুদীপ্ত সেন ও ম্যানেজার মহম্মদ খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেন। উইলিয়ামনগর, ফুলবাড়ি শাখার অফিস ইতিমধ্যেই সিল করে দিয়েছে পুলিশ।
|
রাজ্যে অপহরণ বেড়ে যাওয়ায় বিরক্ত নীতীশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
রাজ্যে অপহণের ঘটনা বাড়ায় তাঁর উদ্বেগের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। দ্রুত শুনানির উপর জোর দিতে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের বৈঠকে পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, মহিলাদের উপর যে ভাবে অত্যাচার বাড়ছে তাতে আরও সংবেদনশীল হয়ে কাজ করতে হবে প্রশাসনকে। বিজ্ঞনিভিত্তিক তদন্তের উপরও জোর দেন তিনি। রাজ্যে অপহরণ, তোলা আদায় এবং অপহরণ করে খুনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। বৈঠকে যে পরিসংখ্যান উঠে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে মাসে ৬টি করে অপহরণের অভিযোগ জমা পড়ছে। এই পরিসংখ্যান দেখে মুখ্যমন্ত্রী বিরক্তি প্রকাশ করেন। তাঁর নির্দেশ, এই সব মামলার ব্যাপারে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করতে হবে। যারা ধরা পড়বে তারা যাতে জামিন না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আজকের বৈঠকে তিনটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে---বেআইনি অস্ত্র রাখা, অবৈধ মদ ব্যবসা ও অবৈধ টাকা লেনদেন। এই তিনটি বিষয়ে জোর দিলে এবং তা রুখতে পারলেই অপরাধ অনেকটা কমবে বলে মনে করেন প্রশাসনিক কর্তারা। আইজি (অপারেশন) অমিত কুমার বলেন, “দ্রত শুনানির হলে যারা খুন এবং ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকে তাদের শাস্তিও তাড়াতাড়ি হয়। তাতে অপরাধীরা সতর্ক হয়।”
|
বিহারেও ভুঁইফোঁড়-হানা পুলিশের |
সংবাদসংস্থা • পটনা |
পশ্চিমবঙ্গে সারদা-কাণ্ড নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পর রবিবার রাজ্য জুড়ে একাধিক ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার অফিসে হানা দিল বিহার পুলিশের একটি দল। ১১ জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি আটক হয়েছে ৮ লাখ টাকাও। পুলিশ সূত্রে খবর, যে চোদ্দোটি সংস্থার অফিসে পুলিশ হানা দেয়, তাদের অধিকাংশরই সদর দফতর কলকাতায়। অফিসগুলো থেকে যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তা নিলাম করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিকে শনিবার আগরতলায় ‘সেল্ফ-ট্রাস্ট’ নামের এক সংস্থা টাকা ফেরত দিচ্ছে না এই অভিযোগে সংস্থার ডিরেক্টরের উপর চড়াও হন এক দল ব্যক্তি। দীপক সাহা নামে ওই ডিরেক্টরকে তার পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে তাঁর পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
|
মণিপুরে নিখোঁজ ২ ছাত্রী |
সংবাদসংস্থা • গুয়াহাটি |
নিখোঁজ হওয়ায় ছয় দিন পরেও, দশম শ্রেণির দুই ছাত্রীর হদিস না মেলায় মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার কুংবি লাইনগৌবি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ জানায়, ২২ এপ্রিল থেকেই হেইশনাম সুবিদ্রা (১৫) ও ইয়ুমনাম কবিতা (১৮) নামে ওই দুই ছাত্রীর খোঁজ নেই। সকালে স্কুলের পোশাক কিনতে যাওয়ার নাম করে বের হয়ে তারা আর ফেরেনি। দুই জনই সাংগাং স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সুবিদ্রার বাবা রণবীর ও কবিতার মা শান্তি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, সম্ভবত, কোনও জঙ্গি সংগঠন তাঁদের মেয়েদের আটকে রেখেছে। মেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাঁরা পুলিশকে এত দিন জানাননি। খবর পেয়ে, পুলিশ দুই জনের সন্ধান শুরু করেছে। এর আগে, একই জেলার অ্যালিস কামেই ও খাইদেম সানাহাবি চানু নামে ১৬ বছরের দুই ছাত্রী ১২ মার্চ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। এখনও পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। অবশ্য আরপিএফ জঙ্গি সংগঠন বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, দুই ছাত্রী স্বেচ্ছায় তাদের সংগঠনে যোগ দিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবাদী মঞ্চ গড়া হয়েছে।
|
কয়লা দুর্নীতি নিয়ে রাস্তায় নামবে বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে এ যাবৎ সংসদের ভিতরেই সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। এ বার সেই আন্দোলনকে সংসদ থেকে সড়কে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিল দল। ঠিক হয়েছে, ৪ ও ৫ মে দেশের সব রাজ্যের রাজধানীতে দু’দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি হাতে নেবে দল। কয়লা খনি বণ্টন মামলায় সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআইকে প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠায় নতুন করে রক্তের স্বাদ পেয়েছে বিজেপি। দলের বক্তব্য, তদন্তে যাতে কেন্দ্র-বিরোধী কোনও তথ্য না থাকে সে জন্যই সক্রিয় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার। কারণ, সিবিআই যে সময়ের খনি বণ্টন নিয়ে তদন্ত করছে সে সময়ে ওই মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহই। বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর আজ দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সিবিআইকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন অশ্বিনী। এবং সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন যে, অশ্বিনী ইস্তফা দেবেন না। কারণ, আইনমন্ত্রী সরলেই পরবর্তী নিশানা যে তিনি নিজে, সে কথা মনমোহন ভালই জানেন। ভারতীয় ভূখণ্ডেদেশমন্ত্রীর বেজিং যাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। অবিলম্বে ওই সফর বাতিল করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন দলীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহ।
|
মন্ত্রীকে লক্ষ করে জুতো, বোতল |
সংবাদসংস্থা • গুয়াহাটি |
সংখ্যালঘু ছাত্র সংগঠনের অধিবেশনে এসে, সংখ্যালঘু নেতা তথা সাংসদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় জুতো, পাথর, কাদা, বোতলের নিশানা বনলেন অসমের বন ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী রকিবুল হুসেন। রবিবার, চিরাং জেলার বড়তলোয়া এলাকায়, আমসুর ৩৩ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই বক্তা হিসাবে হাজির ছিলেন রকিবুল। ভাষণের সময়, তিনি চিরাং-এর সম্প্রীতি বনাম রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে আনেন। সংঘর্ষ বাধাবার পিছনে যেমন এআইইউডিএফ-এর প্রতি প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত করেন তিনি, তেমনই দাবি করেন, কংগ্রেসের মন্ত্রী-বিধায়করাই সংঘর্ষের সময় এই এলাকায় এসেছেন, সংঘর্ষ থামিয়েছেন। ভাষণে, এআইইউডিএফ প্রধান, সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলের সমালোচনা করার পরেই দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে জুতো, ইট, বোতল উড়ে আসতে থাকে। চেয়ারও ছুড়ে মারা হয়। জুতো, বোতল গায়ে লাগলেও কপালজোরে মন্ত্রী জখম হননি। এর পর, মঞ্চ থেকে নেমে গাড়ির দিকে যাওয়ার সময় ফের তাঁর গায়ে কাদা ছোড়া হয়।
|
অভিনব মামলা |
সংবাদসংস্থা • গুয়াহাটি |
জিতেও প্রতিশোধ নেওয়া সম্পূর্ণ হয়নি। তাই, কংগ্রেসের নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে আদালতে মামলা ঠুকলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ও বর্তমানে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে দক্ষিণ তুরা থেকে জেতা নির্দল বিধায়ক জন লেসলি কে সাংমা। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে আগে, ব্লক কংগ্রেসের সভায় ২১ জন সদস্যের মধ্যে ১৭ জনই তাঁর নাম প্রস্তাব করেন। বিলিকিড এ সাংমার নাম প্রস্তাব করেন মাত্র চার জন। তাই, স্বাভাবিক নিয়মে তাঁরই প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। প্রচার শুরু করে দেন তিনি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন অবধি একমাত্র তাঁর নামই জমা পড়েছিল। কিন্তু নাম ঘোষণার দিন বিলিকিডের নাম ঘোষণা করা হয়। অবশ্য এর পর নির্দল হয়ে লড়েও বিলিকিডের বিরুদ্ধে ১৮ ভোটে জেতেন তিনি। তবে বিধায়ক হওয়ার পরেও দলের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ ভোলেননি তিনি। তাই, ধনীরাম শাণ্ডিল, সঞ্জয় বাপনা সমেত বেশ কয়েক জন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
|
বজ্রপাতে মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বাজ পড়ে মারা গেল মা-ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালপাড়া জেলায়। পুলিশ জানায়, গত কাল রাতে প্রবল ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই সুতারপাড়া গ্রামে একটি বাড়িতে বাজ পড়ে। মারা যান আইভান নেসা ও তাঁর ছেলে আবদুল। |
|
|
|
|
|