টুকরো খবর |
খাদি নিয়ে সচেতনতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • পূর্বস্থলী |
প্রধানমন্ত্রী কর্মসৃজন প্রকল্প-সহ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প বিষয়ক জেলাস্তর সচেতনতা শিবির হয়ে গেল রবিবার পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নজরুল মঞ্চে। ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, ভূমি ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, রাজ্য খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ জেলা এবং মহকুমা পর্যায়ের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা। খাদির মাধ্যমে কী ভাবে কর্মসংস্থান সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হয় শিবিরে। জানানো হয় ২০১১-১২ আর্থিক বছরে বর্ধমানে খাদি উৎপাদন করেছে ১৬৪.১৩ লক্ষ টাকার সম্পদ। বিক্রি হয়েছে ১৮৯.৯৬ টাকার। কর্মসংস্থান হয়েছে ৪২৮ জনের। ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে উৎপাদন হয়েছে ১৯৫.৬৪ লক্ষ টাকার। বিক্রি হয়েছে ১৯০.৪৩ লক্ষ টাকার। ৪১৮ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বপনবাবু বলেন, “কালনা-কাটোয়ার মানুষ মনে করেন শিল্প মানেই তাঁত। এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। খাদিতেও প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। তা জানাতেই এই ধরনের শিবির।” শিল্পীদের সহযোগিতা করার জন্য সরকার বিভিন্ন জায়গায় ভর্তুকি দিচ্ছে বলে জানান তিনি। কিন্তু বহু জায়গায় দেখা যাচ্ছে ভর্তুকির টাকা চলে গেলেও শিল্প হচ্ছে না। স্বপনবাবু পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিডিও’কে নির্দেশ দেন সরকারি বিএসকেপি প্রকল্পে কারা সহায়তা পেয়েছেন তাঁদের তালিকা অবিলম্বে টাঙানোর জন্য। স্বপনবাবু দাবি করেন, ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে জেলার ১৬ হাজার ৬০৮ জন শিল্পীর হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। যা থেকে তাঁরা ব্যাঙ্ক ঋণ-সহ নানা সুবিধা পাবেন। |
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি অক্টোবর থেকে
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি সরাসরি গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আগামী ১ অক্টোবর থেকেই সারা দেশে চালু করে দিতে চাইছে কেন্দ্র। তবে এর জন্য চাই আধার কার্ডের নম্বরের সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাউন্ট। তাই ব্যাঙ্কগুলিকে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সরকারি সূত্রের খবর, রান্নার গ্যাসের (এলপিজি) ১৪ কোটি গ্রাহকের হাতে সরাসরি ওই ভর্তুকি তুলে দিতে তাঁদের আধার নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতেই হবে। অথচ এখনও পর্যন্ত ইউআইডিএআই প্রায় ৩২ কোটি অভিন্ন পরিচয়পত্র (আধার কার্ড) দিলেও, মাত্র ৮০ লক্ষ দেশবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে ওই কার্ডের নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ফলে সূত্রটির দাবি, যতটা সম্ভব বেশি মানুষকে সরাসরি এলপিজি ভর্তুকি হস্তান্তর প্রকল্পের আওতায় আনতে ব্যাঙ্কগুলিকে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা ও সেগুলিকে অভিন্ন পরিচয় নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়ে আরও তৎপর হতে হবে। প্রসঙ্গত, বছরে ভর্তুকির সিলিন্ডারের ঊর্ধ্বসীমা ৯টি। গ্রাহক পিছু ভর্তুকির অঙ্ক ৪,০০০ টাকা। গ্রাহকদের প্রথমে ১৪.২ কেজির সিলিন্ডার বাজার দরেই (কলকাতায় ৯২৬.৫০ টাকা) কিনতে হবে। পরে ভর্তুকির টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে।
|
পুরনো খবর: গ্যাসের ভর্তুকি সরাসরি ব্যাঙ্কে দিতে চায় কেন্দ্র |
বাংলাদেশের সঙ্গে বীজধানের দ্বিপক্ষ বাণিজ্যের উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পথে হেঁটে বাংলাদেশে বীজধানের সম্ভাবনাময় বাজার ভারতের সামনে খুলে দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে কাট্স (কনজিউমার ইউনিটি অ্যান্ড ট্রাস্ট সোসাইটি)। একই ভাবে ভারতের বাজারও ওই পড়শি মুলুকের জন্য খোলা রাখতে চায় তারা। সংগঠনের ডেপুটি এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর বিপুল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৬০ লক্ষ ডলার বীজধান আমদানি করে। কিন্তু ভারত থেকে তার পরিমাণ শূন্য। অথচ চিন কিংবা অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত থেকে ওই আমদানির খরচ হবে অনেকটা কম। সুতরাং বীজধানের এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য শুরু হলে আখেরে দু’দেশেরই লাভ বলে তাঁর দাবি। বিপুলবাবু জানান, দু’দেশের শীর্ষ প্রশাসনের কাছে এই যুক্তি আরও জোরালো ভাবে তুলে ধরবে কাট্স। |
ফাঁকির কারণে কেন্দ্র রাজস্ব হারিয়েছে ২৬ হাজার কোটি: সমীক্ষা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জাল পণ্য, কালোবাজারি ও কর ফাঁকির কারণে ২০১২সালে কেন্দ্র ২৬,১৯০ কোটি টাকার কর হারিয়েছে। বিক্রিতে শিল্পের ক্ষতি ১ লক্ষ কোটি। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এগুলির প্রভাব নিয়ে সম্প্রতি ফিকির সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। ৭টি শিল্প সমীক্ষার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মধ্যে রাজস্ব হারানোয় সবচেয়ে বেশি অবদান ভোগ্যপণ্য শিল্পের প্যাকেটবন্দি পণ্যের। তার পরে ব্যক্তিগত ভোগ্যপণ্য, গাড়ির যন্ত্রাংশ, মোবাইল, তামাক। কালোবাজারি ও জাল পণ্যের রমরমায় কেন্দ্র সর্বাধিক কর হারিয়েছে তামাক ও ভোগ্যপণ্যে। পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ করে বাড়ছে কর ফাঁকি দিয়ে তৈরি সিগারেটের বাজার। এগুলি স্থানীয় ভাবে তৈরি বা সীমান্ত পেরিয়ে চোরা চালান হয়। এ ছাড়া ওষুধের ৫% নকল। |
ব্যবসা ঢেলে সাজতে
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
ব্রিটেনের টিসাইড ও রদারহামে তাদের দু’টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে টাটা স্টিল। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে তা কার্যকর করার কথা ব্রিটিশ সরকারকে জানিয়েও দিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে ইঙ্গিত, ভারতীয় ইস্পাত সংস্থাটি ওই কর্মকাণ্ড সরিয়ে নেদারল্যান্ডস ও ভারতে আনতে পারে। এর ফলে ব্রিটেনে ৩০০-৪০০ কর্মী কাজ হারাবেন। ইউরোপীয় ব্যবসায় লোকসান এড়াতে টাটা স্টিলের ব্রিটেনের ব্যবসা ঢেলে সাজারই অঙ্গ এই পদক্ষেপ। |
|