অনিয়মিত হাজিরা, বরাদ্দ খাবার আত্মসাত্-সহ নানা অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বরের পূর্বছোটতুড়ি গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা কখন আসেন কখন যান ঠিক থাকে না। উপভোক্তাদের বরাদ্দ খাবারও ঠিকঠাক দেওয়া হয় না।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্রে পুষ্টি প্রকল্পে ১৫০ জন গর্ভবতী, প্রসূতি-সহ বাচ্চাদের একবেলা খাবার দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ওই সব উপভোক্তাদের সপ্তাহে সব্জি এবং গোটা ডিম-সহ তিন দিন ভাত এবং অর্ধেক ডিম-সহ তিন দিন খিচুড়ি দেওয়ার কথা। রওসনআরা বিবি, আসমা বিবিদের অভিযোগ, “আসলে একদিন মাত্র ডিম দেওয়া হয়। সপ্তাহে সব দিন কেন্দ্র খোলা থাকে না। কর্মী আসেন তো সহায়িকা আসেন না। এর ফলে রান্নাই হয়ই না। শনিবার কর্মী না আাসার জন্য ওই কেন্দ্রে রান্না হয়নি।” এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। সহায়িকা রোশেনা বিবি অবশ্য বলেন, “কর্মী না আসায় আমি নিজ দায়িত্বে রান্না করিনি। তবে যোগসাজোস করে আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন।” কর্মী ইরাবতি কুণ্ডুর দাবি, “আত্মসাতের অভিযোগ মিথ্যা। অনিয়মিত হাজিরার অভিযোগও ঠিক নয়। হঠাত্ অসুস্থতার কারণে শনিবার কেন্দ্রে যেতে পারিনি। তবে আমার স্বামীকে পাঠিয়ে সহায়িকাকে রান্নার ব্যবস্থা করতে বলেছিলাম। তিনি কেন করেননি বুঝতে পারছি না। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” ময়ূরেশ্বর ২ ব্লক সুসংসহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক শান্তিকুমার বাগদি বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।” |