সতর্ক করার পরেও কয়েক লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকায় বিএসএনএল-এর একাধিক এক্সচেঞ্জ ও টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিল বিদ্যুত্ দফতর। যার জেরে গত দু’ দিন ধরে বোলপুর মহকুমার বহু এলাকার টেলি পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী কয়েক হাজার গ্রাহক। শনিবার রাত পর্যন্তও অবশ্য তার খবর নেই বোলপুরের বিএসএনএল আধিকারিকের কাছে। শনিবার রাতে বোলপুর টেলিফোন দফতরের এসডিওটি মাধব পাল বলেন, “বিদ্যুত্ বিল বকেয়া আছে বলে জানি না। বিদ্যুত্ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে বলেও আমার কাছে কোনও খবর নেই।” অন্য দিকে, বিএসএনএল-এর বীরভূমের জেনারাল ম্যানেজার সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখছি। অবিলম্বে সব বকেয়া মেটানো হবে। গ্রাহক পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে দিকে নজর রাখছি।”
বিদ্যুত্ দফতর সূত্রের খবর, বোলপুর টেলিফোন দফতরের আওতায় থাকা এক্সচেঞ্জ ও টাওয়ার নিয়ে মোট ১৩টি সংযোগে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি বিল বকেয়া রয়েছে। অভিযোগ, বারবার জানানো সত্ত্বেও সেই বকেয়া বিল মেটাচ্ছে না বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ। ফলে এক রকম বাধ্য হয়েই বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন পরিষদের বোলপুর গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্রের স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল গফফর ও বোলপুর ডিভিশন দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ সোহেল হাসান বলেন, “মোট ৮টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গ্রেস পিরিয়ডের পরেও বিএসএনএল দফতর বকেয়া প্রায় ১০ লক্ষ টাকা জমা দেননি। তাই শনিবার দুপুরে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ও টাওয়ার নিয়ে ৮টি সংযোগের বিদ্যুত্ কেটে দেওয়া হয়েছে।” জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতন, সুরুল, বল্লভপুর, বিনুরিয়া, রাইপুর, দেবগ্রাম, মকরমপুর ও কালিকাপুর এলাকার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ও টাওয়ারের বিদ্যুত্ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন তালিকায় আর ৫টি জায়গা বেড়েছে। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। বিনুরিয়ার বাসিন্দা প্রদ্যোত্ কুণ্ডু, নব গড়াই-রা বলেন, “শনিবার থেকে বিএসএনএলের এক্সচেঞ্জ বসে যাওয়ায় মোবাইল, ল্যান্ডলাইন কিছুই কাজ করছে না। আজকের যুগে ফোন ছাড়া কি থাকা যায়! চরম দুর্ভোগে পড়েছি।” অবিলম্বে বিএসএনএলকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা। |