বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত মা, বাবা ও ছেলে
ড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল মা, বাবা ও ছেলের। শনিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান থানার জ্যোৎরামের কাছে আলেয়া গ্রামের ঘটনা। মৃতদের নাম শ্রীপতি সরকার (৩২), শঙ্করী সরকার (২৫) ও প্রসিদ সরকার (১৩)। শনিবার রাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি দুর্ঘটনা। দেহগুলির ময়না তদন্ত করানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা।
শ্রীপতি ও শঙ্করী।—নিজস্ব চিত্র।
রবিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত শ্রীপতিবাবুর দাদা রমাপতিবাবু বলেন, “শনিবার সকাল সাতটা নাগাদ ভাইয়ের বাড়ি থেকে চিৎকারের আওয়াজ পাই। গিয়ে দেখি, তিন জনের শরীর থেকেই ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কারও জ্ঞান নেই।” রমাপতিবাবুর দাবি, “বাড়ির একটি ঘর থেকে বাথরুম পর্যন্ত একটি ‘থ্রি-পিন প্লাগ’ থেকে বিদ্যুৎবাহী তার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাতেই হাত ঠেকে যায় ভাইয়ের। ছাড়াতে গিয়ে ভাইপোও আটকে যায়। পরে দু’জনকে ছাড়াতে গিয়ে বৌমা আটকে গিয়েছিল।” তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ‘হুকিং’য়ের তারে হাত লেগেই এই ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা অমল সরকার, গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়দের অভিযোগ, “প্রতি রাতেই হুকিং করে বাড়িতে আলো জ্বালাত ওই পরিবার। রোজ সকালে হুকিংয়ের তার খুলতে দেখা যেত ওঁদের। সম্ভবত, তারে ভিজে হাত লেগেই তড়িদাহত হন শ্রীপতিবাবু।” তবে পুলিশের দাবি, ‘হুকিং’য়ের ব্যাপারে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “হুকিং’য়ের কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাইনি আমরা। ঘটনার তদন্ত চলছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

ট্রেনের ধাক্কায় মৃত
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল এক দৃষ্টিহীন ব্যক্তির। রবিবার সকালে বর্ধমান স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন রেল লাইনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম গোবিন্দ দাস (৫৫)। তাঁর বাড়ি শহরের গুডস ্শেড রোডে। গোবিন্দবাবুর ছেলে জয়দেব দাস জানান, রবিবার সকাল থেকেই বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির পরে বর্ধমান জিআরপিতে তাঁর ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেন মা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.