টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের তিন পদাধিকারী বেআইনি ভাবে পদে রয়েছেন, এমনই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিবেকানন্দ কলেজের চার পড়ুয়া।
তড়িৎ দত্ত, অঙ্কুর সরকার, সৌরভ সাহা ও মৌসম দত্ত নামে ওই চার পড়ুয়া নিজেদের টিএমসিপি-র সমর্থক বলেই দাবি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি শুভ্র ঘোষ, সাংস্কৃতিক সহ-সম্পাদক রিমো প্রামাণিক ও স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী পার্ট ১ পরীক্ষায় পরপর দু’বার অকৃতকার্য হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁদের আর পদে থাকার অধিকার নেই। ছাত্র সংসদের কোনও কমিটিতেও থাকার যোগ্যতাও নেই। তবু তাঁরা পদে রয়েছেন। এ ব্যাপারে সিভিল জজ জুনিয়র দ্বিতীয় আদালতে মামলা করেছেন ওই চার জন। আদালত ২১ মে শুনানির দিন ধার্য করেছে। সে দিন কলেজ কর্তৃপক্ষকেও আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ শিবপ্রসাদ রুদ্র বলেন, “পরপর দু’বছর অকৃতকার্য হলে ছাত্র সংসদের পদে থাকার নিয়ম নেই। তবে শেষ বারের পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই ছাত্র সংসদ গঠিত হয়। তার ফলে, তাঁদের বিভিন্ন পদে রাখাও হয়। কিন্তু পরের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরে দেখা গিয়েছে, ওই তিন জন ফের অকৃতকার্য হয়েছেন। এর পরে কলেজর টিএমসিপি-রই একটি গোষ্ঠী ওই তিন জনের বহিষ্কারের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখায়। আমরা ঘটনার কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের কর্তব্য জানতে চেয়ে চিঠি লিখেছিলাম। ছ’মাস কেটে গেলেও তার উত্তর পাইনি।” কলেজ সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে কোনও উত্তর না পেয়েই চার ছাত্র আদালতের দ্বারস্থ হন। তবে কলেজসমূহের পরিদর্শক দেবকুমার পাঁজার বক্তব্য, “পরপর দু’বার অকৃতকার্যেরা ছাত্র সংসদের পদে থাকতে পারবেন না, এমন নিয়মের কথা আমার জানা নেই।” ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি শুভ্র ঘোষের দাবি, “পরপর দু’বার অকৃতকার্য হয়ে পদে থাকার ঘটনা আগেও ঘটেছে। সকলের সম্মতি নিয়েই আমরা ওই পদে ছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সরানোর চেষ্টা চলছে।” টিএমসিপি-র বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবীপ্রসাদ দত্ত ও কলেজের টিএমসিপি নেতা সুমন চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “অবিলম্বে নিয়ম মেনে পদত্যাগ করা উচিত ওদের।” |