একমাত্র সঙ্গীত পরিচালক অভীক মিত্র ছাড়া শ্রীময়ীর টিমে সকলেই বিদেশি। কলকাতাবাসী অভীকের ছবির সঙ্গীত তৈরির কাজেও সেতু বেঁধেছে প্রযুক্তি। স্কাইপ-এ শ্রীময়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কলকাতা থেকেই ছবির সঙ্গীত তৈরি করেছেন। এ ছাড়া মোটামুটি ‘আন্তর্জাতিক’ ফিল্ম ইউনিট নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘শ্যাডোস’। তাৎপর্যের বিষয় হল এই ছবির সিনেমাটোগ্রাফার লন্ডনের বাসিন্দা পাকিস্তানি তরুণ উসমান ফারুক। মুম্বই হামলার পরে দু’দেশের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। খেলাধুলোও বন্ধ হয়েছে অনেক দিন। কিন্তু সেই খারাপ সম্পর্কের ছায়ায় ঢাকা পড়েনি ‘শ্যাডোস’। উসমানের কথায়, “শিল্পের আদানপ্রদান কোনও সীমানা মানে না। ছোটবেলা থেকেই দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন দেখে আসছি। কিন্তু তার বাইরেও তো একটা দুনিয়া আছে! আমি বা শ্রীময়ীর মতো আজকের প্রজন্মেরা সেখানেই বাস করি।”
শুধু শ্রীময়ীই নন, এ বার একই বিভাগে কলকাতার ছেলে অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘সতী’ও জায়গা করে নিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তথা ‘স্থানীয় সংবাদ’ ছবির পরিচালক মৈনাক বিশ্বাসের মত, “খুবই আনন্দের খবর। এখন প্রচুর অল্পবয়সি নতুন ছেলেমেয়ে ছবি তৈরি করছে। ডিজিটাল টেকনোলজি আসায় কাজটা অনেক সহজ হয়েছে। একটা নতুন ধরনের সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে।”
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। বেঙ্গালুরুতে এখনও সেই পেশার চাকরিতেই আছেন শ্রীময়ী। ফিল্মি দুনিয়ার সঙ্গে কখনওই তেমন কোনও সম্পর্কই ছিল না। তবে অভিষেকেই এই সাফল্যের পর শ্রীময়ী ভাবতে শুরু করেছেন ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে ছবি তৈরির দুনিয়ায় আসার কথা। তার আগে একরাশ স্বপ্ন চোখে আগামী ১৫ মে নিজের ছবি নিয়ে ফিল্মের মক্কায় পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় শ্রীময়ী। |