সারদা কাণ্ডে সুদীপ্ত সেন গ্রেফতার হলেও ফালাকাটার জটেশ্বরের ভুঁইফোঁড় বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার মালিক বঙ্কিম দেবনাথ দেড় মাস ধরে ফেরার। ক্ষুব্ধ আমানতকারীদের অনেকেরই অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী মহল সক্রিয় থাকায় অভিযুক্ত ধরা পড়ছে না। অবিলম্বে অভিযুক্তকে ধরে টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা না-করা হলে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন আমনাতকারীরা। শনিবার দুপুরে বীরপাড়া ও জটেশ্বরের আমানতকারীরা অভিযুক্ত বঙ্কিমবাবুর ভাড়া অফিসে ও বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। সংস্থার সঙ্গে অসমের কংগ্রেস বিধায়ক চন্দন সরকারের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। কয়েকজন আমানতকারী প্রশ্ন করেন, “সুদীপ্ত সেনকে কাশ্মীর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও দেড় মাস ধরে ফেরার বঙ্কিমকে কেন ধরতে পারছে না পুলিশ?” আলিপুরপুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া যার উত্তরে বলছেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।” মাত্র ১৫ দিনে জমা টাকা দ্বিগুন করার প্রলোভন দেখিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে জটেশ্বরে অফিস খোলে একটি সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতেই মার্চের প্রথম সপ্তাহেই অফিস বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে সংস্থার মূল পাণ্ডা বঙ্কিমবাবু। এ দিন সংস্থার যে অফিসের সামনে বিক্ষোভ হয়, সেই বাড়ির মালিক অসমের কংগ্রেস দলের বিধায়ক চন্দন সরকার। সে কারণেই ওই চক্রের সঙ্গে অসমের কংগ্রেসের বিধায়কের যোগাযোগের অভিযোগ তুলেছেন আমানতকারীরা। ফেরার বঙ্কিম বাবুকে আত্মগোপন করতে সাহায্য করার অভিযোগও উঠেচে বিধায়কের বিরুদ্ধে। যদিও চন্দনবাবু বলেন, “কোনও ধরণের অর্থলগ্নি সংস্থায় আমার বা আমার পরিবারের কেউ জড়িত নন।” একসময়ে কম্পিউটার মেরামতির কাজ করা বঙ্কিম দেবনাথ মাস চারেক আগে জটেশ্বরে অর্ধেক টাকা জমা রাখলেই ১৫ দিন পরে কম্পিউটার, এলসিডি দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ায় তিনি ১৫ দিনে টাকা দ্বিগুণ করার ব্যবসা শুরু করেন। |