সম্প্রতি তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে রাস্তা তৈরির কাজে প্রায় ২২ লক্ষ টাকার অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তা নিয়ে তাঁরা একটি পথসভার আয়োজনও করেছিলেন। আর সভার উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধেই। কিন্তু হামলার অভিয়োগ দায়ের হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেও গত বৃহস্পতিবার শামুকতলার উত্তর মজিদখানায় টটপাড়া নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশের এই ভূমিকার নিন্দা করল ডান-বাম বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
হামলার প্রতিবাদে এবং ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও অন্য দু’জনের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার থেকেই আন্দোলন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্লক কংগ্রেস নেতা রঞ্জন রায় ও বিজেপি নেতা শঙ্কর দাস। সিপিএমের আলিপুরদুয়ার ২ জোনাল কমিটির সদস্য অমল দে-র প্রতিক্রিয়া, “তৃণমূলের নেতৃত্বে গ্রামবাসীদের উপর যে ভাবে হামলা চালানো হল তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” অন্য দিকে, আরএসপির জোনাল সম্পাদক গুরুদাস ভৌমিক বলছেন, “এই সরকারের আমলে সাধারণ মানুষ গণতান্ত্রিক আন্দোলনও করতে পারছেন না!” গ্রামবাসীদের উপরে হামলার নিন্দা করলেও তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার ২ ব্লক সভাপতি কাজল দত্ত-র দাবি, “এই ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নন। আমাদের দলের লোকেদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করুক।” যদিও উত্তর মজিদখানা গ্রাম বাঁচাও কমিটির নেতা সত্যেন্দ্র প্রসাদ রায়ের অভিযোগ, “আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। অথচ পুলিশ অভিযুক্তদের এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। এই অবিচারের বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলবে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। শীঘ্রই তাদের ধরা হবে। |